নারায়ণগঞ্জের রূপগগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে এক এক করে ৫২টি পোড়ালাশ বের করে আনা হয়েছে। মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের চারটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। ভয়াবহ আগুনের এ ঘটনায় নিহতদের ২৫ হাজার ও আহতদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম বেপারী।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শামীম বেপারী বলেন, রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে গতকাল দুজন আর আজকে (শুক্রবার) ৫২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫১টি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আহতদের তালিকা করা হচ্ছে। মরদেহগুলো সরকারি নিয়ম অনুসারে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, মরদেহগুলো হস্তান্তরের সময় সরকারি নিয়ম অনুসারে নিহতদের স্বজনদের ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। আর যারা আহত হয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এ সহায়তা দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কারখানাটির ৫ ও ৬ তলায় এখনও আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে অগ্নিকাণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ জনে দাঁড়াল।
শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ অ্যাম্বুলেন্সে করে আমরা ৪৯ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছি, ময়নাতদন্তের জন্য।