মোঃ সাজিবুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার।
কেরু চিনিকলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বিবার্ষিক নির্বচনের আজ ছিলো সাধারণ সভা। ১২৮৭ ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করবে আগামি ৪ ফেব্রুয়ারী। সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। কেরু প্রাঙ্গন শ্লোগান আর মিছিলে ছিলো সরগরম।চিনিকলের ইয়ার্ডে মঞ্চ নির্মান করা হয়।
নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থীরা তাদের সমর্থক ও ভোটারদের সাথে নিয়ে মিছিল সহকারে কেরু ক্যাম্পাসে মিছিল, শ্লোগান ও ঢাক ঢোল পিটিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হতে দেখা গেছে।সকাল ১১ টায় বর্তমান সাধারন সম্পাদক ও চিনিকল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাসুদুর রহমান বিশাল বহর সহকারে তার দলীয় কর্মী এবং ভোটারদের নিয়ে মাসুদ সংগঠন কার্যালয় থেকে বের হয়ে সমাবেশ স্থলের দিকে যাত্রা করে এরপর বর্তমান সভাপতি সবুজ তার দলীয় কার্যালয় থেকে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে সমাবেশ স্থলে এসে উপস্থিত হয়।
এরপর একে একে সভাপতি পদপ্রার্থী তৈয়ব আলী, সাধারন সম্পাদক প্রার্থী মনিরুল ইসলাম প্রিন্স এবং নফর উদ্দীনও তাদের সমর্থক নিয়ে সমাবেশ স্থলে হাজির হয়। কোরান তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে সাধারন সভার বক্তব্য শুরু হয়। আয় ব্যায়ের হিসাব তুরে ধরে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান। সহ- সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থীরা একে একে বক্তব্য রাখেন। আগামি ৪ ফেব্রুয়ারী ভোটের দিন নির্ধারন করা হয়।
বর্তমান সভাপতি সবুজ এবং সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমানের শোভাযাত্রা ছিল অন্যান্য প্রর্থীদের চমকে দেয়ার মত। এই দু’ জনের কর্মী, সমর্থক ও ভোটারের সংখ্যা দেখে মনে হয়েছে ১২০০ ভোটার তাদের সমর্থন দিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহন করেছে আর যৎ সামান্য কর্মী সমর্থক ও ভোটার বাকি সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের মিছিলে সমবেত হয়েছে৷ তাই আগামি নির্বাচনে বর্তমান যারা ক্ষমতায় আছে অর্থাৎ সভাপতি সবুজ এবং সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান আবারও আসন অলংকুত করবে।
এছাড়া সহ- সভাপতি ও যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী যারা নিজ যোগ্যতা বলেই তাদের জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। সবুজ ও মাসুদ সংগঠন এক প্রকার অলিখিত প্যানেল নিয়েই নির্বাচন করছে অপর দিকে তৈয়ব এবং প্রিন্স প্যানেল, এটা প্রকাশ্যে না হলেও গোপনে গোপনে এমনটিই বোঝা যাচ্ছে।