মীযান মুহাম্মদ হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
প্রতি বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় মুসলমানদের একটি বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান “বিশ্ব ইজতেমা”।
সারা বিশ্বে মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকল শ্রেণি ও পেশা ও বয়সের মানুষের কাছে তাওহিদ তথা একত্ববাদের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রতি বছর সারা বিশ্বের লাখো মুসল্লি জড়ো হন, রাজধানীর সন্নিকটে তুরাগ নদীর তীরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমায়।
করোনাকালের ভয়াবহ মহারির কারণে দু বছর বিশ্ব ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ থাকলেও, এ বছর
পুরো উদ্যমে কাজ চলছে। সারাদেশের
বিভিন্ন জায়গা থেকে আগত নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষের স্বেচ্ছা শ্রমে প্রতিবছর জানুয়ারিতে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আয়োজিত হয় এই বিশাল এক সম্মেলনের। যা মুসলমানদের পবিত্র হজব্রত পালনের পর সবচে বৃহৎ এক মহা সম্মেলন বলেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও সমাদৃত হয়ে আসছে ইতিমধ্যে।
তাই বৃহৎ এ সম্মেলনকে প্রাণবন্ত করে তুলতে এবং আগন্তুকদেরকে স্বাগত জানাতেই চারদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে একটি জোড়-ইজতেমা। এতে রাজধানী ঢাকার কাকরাইলের সম্মানিত শীর্ষ মুরুব্বিদের সার্বিক দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা ও উৎসাহীমূলক আলোচনা হয়ে থাকে।
সাধারণত দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ করেন, এমন একনিষ্ঠ দাঈ-সাথীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই জোড় ইজতেমা। গত ২ তারিখ থেকে শুরু হয় এই জোড় ইজতেমা। ৫ তারিখ বিশেষ দুআর মাধ্যমে এ ইজতেমা শেষ হবে বলে জানা গেছে। আজ চলছে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক দ্বিতীয় দিনের আমল। আগামীকাল (রোববার) রাতে বা সোমবার সকালে মুনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্ত হতে পারে এবারের জোড় ইজতেমা।
রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের আটটি জেলার তিন চিল্লা তথা চারমাস আল্লাহর রাস্তায় লাগাতর সময় দিয়েছেন, এমন সাথীদের অংশ গ্রহণে জোড় ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চলছে।
উল্লেখ্য যে, আগামী ১৩,১৪ ও ১৫ ইং জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। দেশ জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় সফল হোক এবারের বিশ্ব ইজতেমা। এমনটাই আশা করছেন আগত মুসল্লিরা। আমরা এই জোড় ইজতেমা ও আগত বিশ্ব ইজতেমার সার্বিক সফলতা কামনা করছি।