শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরের জাজিরায় পারিবারিক কলহের জেরে নুসরাত জাহান (১৬) নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ডিসেম্বর) সকালে জাজিরা সদর ইউনিয়নের মনিরুদ্দিন সরদার কান্দি স্বামী রাসেল ছৈয়ালের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান রফিক মাস্টার জানান, জাজিরা পৌরসভার মতি সাগর মৌলভী কান্দি গ্রামের দুলাল মাদবরের মেয়ে নুসরাত জাহানের সাথে গত প্রায় এক বছর পূর্বে প্রেম সংগঠিত হয়ে বিয়ে হয় মোহাম্মদ আলী ছৈয়ালের ছেলে রাসেল ছৈয়ালের। আজ শুনলাম মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত করে কেউ দোষী হলে তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় শাজাহান চৌকিদারের মেয়ে আরিফা আক্তার জানান, সকালে তার কাছে মিষ্টি খেতে চায় নুসরাত জাহান। পরে সে সারে আটটার সময় মিষ্টি নিয়ে গেলে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে জানালা দিয়ে তাকিয়ে ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় দেখে নুসরাত জাহান ঘরের চালার সাথে ঝুলতেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাসেলের সাথে ঝগড়া হয় নুসরাত জাহানের। তার আগ পর্যন্ত সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও তার কিছুক্ষণ পরেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় নুসরাত জাহান। পরে স্বামী রাসেল ছৈয়াল ও তার বাবা ঝুলন্ত অবস্থায় নুসরাত জাহানকে উদ্ধার করে সারে নয়টার দিকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।
জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ সাব্রিনা জানান, আমাদের কাছে নিয়ে আসার পূর্বেই নুসরাত জাহান মারা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গলায় রশি দিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে নুসরাত জাহান।
নুসরাত জাহানের নানা আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আমার নাতনী নুসরাত জাহানকে তারা সুকৌশলে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইছে। আমরা এর বিচার চাই। এদিকে এই ঘটনায় রাসেল ছৈয়ালের চাচা ইব্রাহিম ছৈয়াল ও বাবা মোহাম্মদ আলী ছৈয়ালকে নুসরাত জাহানের আত্মীয়স্বজন আটক করে জাজিরা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা আপাতত লাশটি পোস্টমর্টেম জন্য শরীয়তপুর মর্গে প্রেরণ করেছি এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।