এম এম মামুন, নিউজ ডেস্ক : রাজশাহী মহানগরীর উচ্চ স্বরে সাউন্ড বক্স বাজাতে করায় মুকুল আলী নামের এক ব্যক্তিকে চাকু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র শাহমখদুম থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে, রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকার মো: বকুল আলীর মেয়ে মোসা: খাদিজা (১৯) ও একই এলাকার মো: আসাদ আলীর ছেলে মো: মিঠন (৩০), মো: বাদশা মিয়ার ছেলে মো: মোমিন (২৫), জান মোহাম্মাদের ছেলে মো: সোহেল (৩২) ও কর্ণহার থানার মোল্লা ডাইং এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে মো: পলাশ (৪০)।
ঘটনা সূত্রে জানা গেছে , রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার হরিষার ডাইং এলাকায় বকুলের ছেলে নাহিদ গত সোমবার (১ আগষ্ট) রাত সাড়ে ৯ টায় উচ্চ স্বরে সাউন্ড বক্সে গান শুনছিলো। প্রতিবেশী মুকুল আলীর মেয়ে অন্তসত্বা ও অসুস্থ হওয়ায় মুকুল আলী নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজাতে নিষেধ করেন। নাহিদ তাৎক্ষণিক সাউন্ড বক্সের শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল সেখান থেকে চলে আসার পর আবারও শব্দ বাড়িয়ে দেয়।
মুকুল আলী পুনরায় নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজাতে নিষেধ করলে আসামি নাহিদ ও তার পিতা বকুল আলী, মা ও তার বোন মিলে মুকুলকে গালিগালাজ করে এবং তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লোহার রড দিয়ে মুকুলের মাথায় আঘাত করে এবং চাকু দ্বারা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে গুরুত্বর জখম করে। তার চিৎকার শুনে আপন ছোট ছেলে শাহীন আলম ও জামাই আলমগীর এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারপিট ও চাকুর আঘাতে তারাও জখম হয়।
নিহত মুকুলের ছেলে শামিম ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন মুকুলকে উদ্ধারে এগিয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুত্বর আহতবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত
সাড়ে ১২ টার মারা যান। নিহত মুকুলের ছেলে মো: শামিম ইসলাম বাদি হয়ে শাহমখদুম থানায় হত্যার মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (শাহমখদুম) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এসআই মো: শরিফুল ইসলাম ও তার টিম আসামিদের অবস্থান সনাক্তপূর্বক অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার রাত ৯ টার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, আসামীদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।