গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের টঙ্গীতে সরকারি ডিআইটি প্রকল্পের জায়াগা দখল করে অবৈধ ভাবে পার্কিং বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছে কথিত যুবলীগ নেতা ফরহাদ হোসেন ও আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও এ দুই কথিত যুবলীগ নেতা ফরহাদ ও আল আমিনের বিরুদ্ধে রয়েছে বস্তি দখল, সরকারি জমি দখল, মিছিলে না যাওয়ায় কর্মীকে মারধরসহ নানা অভিযোগ ও মামলা।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, টঙ্গীর দক্ষিণ আউচ পাড়া বেক্সিমকো রোড এলাকায় আঞ্চলিক সড়কের পাশে সরকারি ডিআইটি প্রকল্লের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ পার্কিং স্ট্যান্ড। এই স্ট্যান্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩০/৩৫টি গাড়ি পার্কিং করে মোটা অংকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র। এছাড়াও এই স্ট্যান্ডকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী ও মাদক ব্যবসায়ীদের একটি চক্র। অভিযোগ আছে এই সব চক্রগুলোর প্রত্যক্ষ মদদদাতা কথিত যুবলীগ নেতা ফরহাদ ও আল আমিন। পার্কিং এর চাঁদা উত্তোলনের জন্য নিয়োজিত আছে সবুজ নামের স্থানীয় এক চাঁদাবাজ। সবুজ প্রতি গাড়ি থেকে দিন হাড়ে ১০০/২০০ টাকা এবং মাসিক হাড়ে ৩০০০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করে থাকে। এছাড়া মাদক সিন্ডিকেট থেকে চাঁদা কালেকশন করেন এই সবুজ। পার্কিং এলাকায় সিটি কর্পোরেশনর পানির লাইন থেকে অবৈধ ভাবে সংযোগ স্থাপন করে গাড়ি সার্ভিসিং ও শৌচাগারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে ফরহাদ ও আল আমিনের নির্দেশে। তাদের পেশীশক্তির কাছে অনেকটা অসহায় ওই এলাকার সাধারন মানুষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবলীগ নেতা বলেন, গিরগিটির মত রং বদলানো নেতা ফরহাদ যুবলীগ নেতা সাইফুলের অনুসারী হিসাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে তিনি নেতা পরিবর্তন করে মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সারকার রাসেলের অনুসারী হয়ে যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেয়া শুরু করেন।
অপরদিকে আল আমিন হোসেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের অনুসারী হিসাবে পরিচিত। তিনি ৫৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী। বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা ও অভিযোগে জেল খেটেছেন কথিত এই যুবলীগ নেতা।
এলাকাবাসীর দাবী অপরাধ জোন খ্যাত বেক্সিমকো রোড এবং কাঠালদিয়া এলাকা থেকে এইসব অবৈধ পার্কিং স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা গেলে অনেকটাই অপরাধ মুক্ত হবে এই অঞ্চল। স্বস্তিতে চলাচল করতে পারবেন এই অঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহন করার দাবী জানান তারা।
এবিষয় জানতে চাইলে ফরহাদ হোসেন বলেন আমি এই পার্কিং বাণিজ্যের সাথে জড়িত নই। একটি চক্র আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।