নিউজ ডেস্কঃ এস আর টুটুল এম এল।
স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বদানকীর সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনের (লিফটের-৩) এ’ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সেগুনবাগিচা ঢাকায় জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (২৭-জুন) সোমবার সন্ধা ৬-০০ মিনিটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সেগুনবাগিচা ঢাকায় জয় বাংলা সাংস্কৃতিক পরিষদের আয়োজনে ও চাঁদপুর মতলব উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধ করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য জননেতা মোজাফফর হোসেন পল্টু।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর ত্রাণ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব শামসুল আলম।
প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মেয়র জননেতা আলহাজ্ব খায়রুজ্জামান কিটন, লায়ন আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আরিফ উল্যাহ সরকার, সদস্য ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর-২ জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল।
রাজশাহীর তানোর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস সোনিয়া সরদার কে বিশেষ অতিথির সন্মানোনা ক্রেস্ট দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
অনুষ্টানের প্রধান আলোচক খায়রুজ্জামান লিটন শুভেচ্ছে বার্তায় বলেন; ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর পূর্ব-পাকিস্তান শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থেকে।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়।