নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ এস আর টুটুল এম এল।
৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আজকের এই দিনে ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট রাতে শত্রুর অস্ত্রের বুলেটে শহীদ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ববলয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদ সদস্য ও শহীদ জাতীয় ৪নেতা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রয়াত নেতাকর্মীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন সাবেক শীল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১’ তানোর গোদাগাড়ী জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্টার ইতিহাস শ্বরণ করে বলেন; ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। ওই সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর পূর্ব পাকিস্তান শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় থেকে।
বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এ দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তীতে দেশের অন্যতম প্রাচীন এ সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এ দেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনেরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক মানুষের অর্জন, এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে আওয়ামী লীগ।
৭৫ এর ১৫ আগষ্টে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃত্ববলয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তাঁর পরিবারের শহীদ সকল সদস্য ও শহীদ জাতীয় ৪নেতা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রয়াত নেতাকর্মীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছেন সাবেক শীল্প প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-১’ তানোর গোদাগাড়ী জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী।