চীফ রিপোর্টার,নোয়াখালী
নোয়াখালী সুবর্ণচরে ৩ ব্যক্তির কেনা জায়গা সম্পত্তি ও দোকান ঘর জোর পূর্বক জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে। উল্টো জবরদখল কারীরা মিথ্যা হামলা মামলা দিয়েও হয়রানী করছে ভুক্তভোগীদের।
ঘটনাটি সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের উত্তর ব্যাগা গ্রামের ঈমান আলী বাজারে।
সরজমিনে গেলে দেখা যায় ভুক্তভোগীদের জায়গা জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে উত্তর চরবাগ্যা গ্রামের আব্দুল কাদের এর পুত্র মিলন মাঝি তার ভাই নুর উদ্দিন একই গ্রামের ইউনুছ মাঝি।
ভুক্তভোগী চরজব্বর ইউনিয়নের চরবাগ্যা গ্রামের সাবেক মেম্বার ছিদ্দিক উল্যার ছেলে মোঃ সবুজ, একই গ্রামের আবুল কালামের পুত্র ফারুক ও নুরুল আলমের পুত্র শাহ আলম।
ভুক্তভোগী মোঃ সবুজ অভিযোগ করে বলেন, উত্তরবাগ্গা গ্রামের মৃত আলী আহমদের পুত্র মফিজের কাছ থেকে সব ২০০৭ সালে তিনি, ফারুক এবং নুরু মাঝি ঈমান আলী বাজারের পাশে নদীর কিনারে ৮ ডিং জমি ক্রয় সূত্রে মালিক ও দখলদার হন পরে আরো ২৪ ডিং দোকান ভিটির জায়গা ক্রয় করেন। কেনার পর থেকে সেখানে তারা একটি স-মিল ঘর নির্মাণ করেন এবং পাশে কয়েকটি ভিটি তৈরী করেন। ২০১৪ সালে ক্ষমতার পালা বদলে ১২ ডিং জায়গা স্থানীয় মিলন মাঝি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে। বর্তমানে মিলন মাঝি সে জায়গাটি দখল করে রেখেছে।
একই এলাকার ভুক্তভোগী আবু কালাম বলেন, ২০১১ সালে ঈমান আলী বাজারের মাঝখানে দোকান ভিটি সহ আড়াই ডিং জায়গা মফিজ মিয়ার কাছ থেকে ক্রয় করেন। দোকান ভিটিসহ কেনার পর তারা ঐ জায়গায় ২০১৭ সালে দোকান ঘর তৈরী করে সেখানে মুদি দোকান করে আসছিলো
একই বছর হঠাৎ করে মিলন মাঝি গভীর রাতে শতাধিক লোক নিয়ে তাকে মারধর করে দোকান লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং সেখানে ইউনুছ মাঝি জোর পূর্বক ঘর উঠিয়ে দখল করে ন্যায়। উল্টো আবুল কালামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। কিছুদিন আগে আবুল কালাম তার জায়গায় ইটবালি নিয়ে দোকান ভিটি নির্মাণ করতে গেলে ইউনুছ মাঝি ও তার ভাই নুর উদ্দিন বাঁধা দেয় এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে জানতে সরজমিনে গেলে অভিযুক্ত মিলন মাঝি ও ইউছুপ মাঝি তাদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন ” আমরা এই জায়গা খরিদসূত্রে মালিক মালিকানার কাগজ পত্র আছে, তাদের দাগ অন্য জায়গায়।
জমির মূল মালিক মফিজ মিয়া জানান, মিলন মাঝি এবং ইউনুছ মাঝিকে ভূমিদস্যু আখ্যা দিয়ে বলেন, মিলন মাঝি ইউছুপ মাঝি তারা ভূমিদস্যু আমি তাদের কাছে অন্য দাগে কিছু জমি বিক্রি করেছি,তারা আবূল কালাম, ফারুক, সবুজ এবং নুর নবীর জায়গা দখল করে রেখেছে।
ভুক্তভোগীরা তাদের জায়গা ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।