এম এম মামুন, রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহীতে প্রতারনার শিকার হয়েছেন মহানগরীর তালাইমারি ও কাজলা এলাকার এরশাদের স্ত্রী শম্পা বেগম ও একই এলাকার নাজনুর করিমের স্ত্রী বর্ণা ভুক্তভোগী এই দুই নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন ।
অাজ বৃহস্পতিবার ( ১২ মে) সকাল সাড়ে ১১ রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, পথশিশু কর্মজীবী শিশুদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির নামে কথিত নারী মুক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহানারা বেগম বুলু ও সহ-সভাপতি শামীম হাসান অন্তু কৌশলে প্রতারণা করে তাদেরকে ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে পথশিশু ও শিক্ষাভাতা দেওয়া হবে বলে প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। কথিত নারী মুক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহানারা বেগম বুলু রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার চন্ডিপুর এলাকার মৃত টুনু মিয়ার স্ত্রী এবং একই প্রতিষ্ঠান এর সহ-সভাপতি শামীম হাসান অন্তু নগরীর মতিহার থানার ধরমপুর এলাকার মৃত হাসেম আলীর ছেলে।
তারা এই প্রতিষ্ঠানের নাম করে পথশিশু শিক্ষাভাতা কর্মজীবী শিশুদের কর্ম দক্ষতা বৃদ্ধির নামে ভুক্তভুগী এই দুই নারীকে ব্যবহার করে প্রায় ২৯৪ জন পথ শিশু পরিবারের নিকট থেকে ছয় হাজার টাকা করে আদায় করে। এছাড়া এই টাকার বাইরে তাদের নিকট থেকে আরো প্রায় বিশ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। এখন তারা পথশিশু ভাতা না দিয়ে প্রায় তিন বছর ধরে সাধারণ জনগণকে প্রতারিত করছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অধিকাংশ আমাদের এলাকার হওয়াই তারা প্রতিনিয়ত আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে ,এতে করে আমরা চরম সামাজিক ও মানসিক ভাবে হেনস্তার শিকার হচ্ছি, আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাগুলোও চরম দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্য থেকে একটি পরিবার শাহানারা বেগম বুলু ও শামীম হাসান অন্তুর প্রতারণায় অতিষ্ঠ হয়ে একটি মামলা দায়ের করে যেখানে আমাদের দুজনের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে আমরা আদালতে গিয়ে জামিন নিয়েছি, তার পরেও সাধারন জনগন আমাদের ওপর অমানুষিক চাপ প্রয়োগ করছে। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা গত ১২ এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে শাহানারা বেগম বুলু, শামীম হাসান অন্তু ও বুলুর ছেলে এটমের নামে মতিহার থানায় একটি প্রতারণা মামলা করি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না, তারা দিব্যি ঘুরে বেড়ালেও আমরা বাড়ীতে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে পরিবারের সাথে থাকতে পারছি না।
এই ভুক্তভোগী দুই নারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেন আপনারা এই বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখুন যদি আমাদের দোষ থাকে তাহলে আমাদেরকে শাস্তি দিন আর যদি শাহানারা বেগম বুলু ও শামীম হাসান অন্তুর প্রতারণার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে তাহলে তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেফতার করুন। তারা দ্রুত গ্রেপ্তার না হলে আত্মহত্যা করবেন বলেও ভুক্তভোগী এই দুই নারী বলেন।
এ ব্যাপারে কথিত নারী মূক্তি সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহানারা বেগম বুলুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুরাহার চেষ্টা করেছি কিন্তু পরবর্তীতে আমার নামে মামলা হওয়ার কারণে গ্রেফতার আতঙ্কে তা আর সম্ভব হয়ে ওঠেনি অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি রাগান্বিত স্বরে পুরো ঘটনাটি এড়িয়ে যান।
এদিকে কথিত এই সংস্থার সহ-সভাপতি শামিম হাসান অন্তুকে একাধিক বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।