মীযান মুহাম্মদ হাসান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিবছর সারাদেশে বেসরকারি দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে কয়েক লক্ষ মাদরাসা ধর্মীয় শিক্ষা দিয়ে আসছে। এসব মাদরাসায় ছেলে মেয়ে সহ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে থাকেন। যাদের মধ্যে এতিম গরীব অসহায়রাও রয়েছেন।
ছেলে এবং মেয়েদের জন্য রয়েছে আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা। মেয়েদের জন্য রয়েছে পর্দার সাথে পাঠদানের ব্যবস্থা। নূরানি শিশু মক্তব থেকে তাকমীল দাওরায়ে হাদিস সরকার স্বীকৃত মাস্টার্স সমমানের এ শিক্ষা ব্যবস্থাটি কয়েক যুগ ধরে পাক ভারত উপমহাদেশে অত্যন্ত সুনাম ও সফলতার সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা দীক্ষা দিয়ে আসছে। পূরণ করে আসছে মুসলমানদের কাঙ্খিত ধর্মীয় চাহিদা।
ইতোমধ্যে সাধারণ জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠান দেশে বিদেশে যথেষ্ট সুনাম সুখ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রতি বছর পবিত্র রমজানের পর শাওয়াল মাস থেকে শুরু হয় এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম। রমজানের আগে শাবান মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায় প্রতি বছরের নির্দিষ্ট সিলেবাস বা পাঠকার্যক্রম।
প্রতিষ্ঠানগুলো গতকাল থেকে প্রায় পুরো দমে শুরু করেছে তাদের ভর্তি কার্যক্রম। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছেন সারাদেশ থেকে আগত অসংখ্য শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান আলোচক ও ইসলামিক স্কলার মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ জানিয়েছেন, দূর দূরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য যাত্রাবাড়ীতে তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের ভর্তিকালীন সময় থাকা খাওয়ার বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এমন কাজের প্রশংসা করছেন দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রাজধানীর জামিয়াতুল আজিজ ও জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ায় দেখা গেছে ভর্তিইচ্ছু শিক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।
নতুন শিক্ষাবর্ষে কাঙ্খিত প্রিয় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পেরে তারা আনন্দ প্রকাশ করছেন অনেকেই। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে উত্তীর্ণ হলে বাছাই করেই কেবল যোগ্য শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে এমন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোয়।
আগামী সপ্তাহে উদ্বোধনী দরস পাঠদানের মাধ্যমে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষের যাবতীয় কার্যক্রম। এমনটাই জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আমরা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সার্বিক সফলতা ও কল্যাণ কামনা করছি।