সাহাজুদ্দিন সরকার
স্টাফ রিপোর্টার।
বেপরোয়া তাকওয়া পরিবহন যেন গাজীপুর চন্দ্রা রোডের সিরিয়াল কিলার। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুর হইতে চন্দ্রা পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্প কারখানার নিম্ন আয়ের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। নিম্ন আয়ের এই শ্রমিকদের যাতায়াত করতে হয় পায়ে হেঁটে অথবা ছোট ছোট ব্যাটারি চালিত যানবাহন দিয়ে। লাগামহীন “তাকওয়া” পরিবহনের যেন এই নিম্ন আয়ের গার্মেন্টস শ্রমিকদের আজরাইল। প্রতিদিনই এই ২০ কিলোমিটার রাস্তায় কোন না কোন জায়গায় শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটছেই। গত সোমবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর ফ্লাইওভারের পশ্চিম অংশে আনসার একাডেমির ১নং গেটের কাছে লাগামহীন “তাকওয়া” পরিবহনের ধাক্কায় আলাউদ্দিন মল্লিক নামে এক মিশুক চালক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়। নিহত আলাউদ্দিন মল্লিকের গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার আঠারগতি গ্রামে। সে বিশ্বাসপাড়া অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম-এর বাসার ভাড়াটিয়া। স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে “তাকওয়া” পরিবহন পিছন থেকে একটি মিশুককে ধাক্কা মারে। মিশুকের যাত্রী ও চালক ছিটকে রাস্তার উপরে পড়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের কুমুদিনী হাসপাতালে পাঠানো হয়। কুমুদিনী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনের মধ্যে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। টাঙ্গাইল গামী তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাস নং গাজীপুর জ-১১০২৬।
উল্লেখ্য গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং রোজ সোমবার গাজীপুর জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অবৈধ “তাকওয়া” চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আনিসুর রহমান । গতানুগতিক প্রথার বাইরে গিয়ে সভায় দুটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে শহরের যানজটের মূল কারণ চক্রাকারে “তাকওয়া” নামে অবৈধ পরিবহন ও ব্যাটারি চালিত আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ অটো রিক্সা বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তবে মানবিক স্বার্থে শহরের শাখা রোডে সীমিত সংখ্যক অটোরিকশা চলাচল শিথিল রেখে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।