তাং ০৮/০৫/২০২২
মোঃ আবুল বাসার
চীফ রিপোর্টার,নোয়াখালী
নোয়াখালী সুবর্ণচরে টিউবওয়েলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা পানি সরবরাহের মোটর চুরিকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (০৭ মে) সকালে চরজব্বার থানায় এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী করে ভুক্তভোগী মো. আবুল হোসেন (৭০)। যার জিডি নং-২৬৮।
সে পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের চর মজিদ গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদনীনের ছেলে। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের অবসর প্রাপ্ত সদস্য।
ভুক্তভোগী মো. আবুল হোসেন জানান, আমার ও পার্শ্ববর্তী মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মো. লেকু মিয়া এই দুই জনের বাড়ির মাঝামাঝি একটি টিউবওয়েল রয়েছে। গত রমজান মাস থেকে ওই কলের সাথে পানি সরবরাহের জন্য একটি মোটর স্থাপন করা হয়।
সংযোগ দেওয়া মোটর কে বা কাহারা নিয়ে গেলে পার্শ্ববর্তী লেকু মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী সাবেক মহিলা মেম্বার রেহানা (৪৫) ও ছেলে রকি (১৯), তার বোন বিলকিছ বেগম (৪০), শাহানারা বেমগ (৩৮), তার বড় ভাই দুলাল (৬০), গত শুক্রবার (০৫ মে) রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সন্দেহজনক ভাবে আমার বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে।
একপর্যায় বিবাদীগণ আমার ছেলের বউ এবং আমার পরিবারের লোকজনদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন লাঠিসোটা নিয়ে মারধরের জন্য আক্রমণ করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পুলিশের অবসর প্রাপ্ত সদস্য হওয়ার পরে ও তারা আমার গাঁয়ে ধাক্কা দেয় এবং আমাদেরকে এই বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের নিকট এর উপযুক্ত বিচার দাবী করি।
বিবাদী মো. লেকু মিয়া জানান, আমাদের পার্শ্ববর্তী পানি সরবরাহের জন্য আরো ৩-৪ টা মোটর রয়েছে, সে গুলো না নিয়ে আমারটা নিয়ে গেলো কেনো। চুরি হয়ে যাওয়া সেই রাত ১২ টার দিকে তাদের বাড়ির রানা বাড়ির দরজায় দাড়িয়ে থাকতে দেখেছে পার্শ্ববর্তী একজন। তাই সন্দেহ করেছি আমার মোটর সে নিয়েছে।
এ বিষয়ে মো. লেকু মিয়ার স্ত্রী সাবেক মেম্বার রেহানা বেগম সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হননি।
চরজব্বার থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, বাদী এই বিষয়ে গতকাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। আজ তারই পেক্ষিতে আরেকটি সাধারণ ডায়েরী করে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।