এসএম রুবেল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সাদিয়া ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মা ও সন্তানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ এপ্রিল ভুল চিকিৎসায় আরও এক নতুন প্রসূতি রোগী মারা যায়। অ্যানেসথেসিয়া বা অবসের জন্য স্পেশালিষ্ট চিকিৎসক দিয়ে অবস করার নিয়ম থাকলেও অন্য ব্যক্তির ভুল ইনজেকশনের কারনে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,সন্তান প্রসবের যন্ত্রণা নিয়ে ৩০ এপ্রিল সকালে সাদিয়া ক্লিনিকে ভর্তি হন উপজেলার পুরাতন বারোরশিয়া গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী মোসা.শুকরাণী বেগম (১৮)। সাদিয়া ক্লিনিকের পরিচালক ও চিকিৎসক মো. শফিউল ইসলাম রোগীকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে অবসের ইনজেকশন দেন। ইনজেকশন দেওয়া মাত্রই রোগী সঙ্গে সঙ্গে মারা যান।
জানা যায়, মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাথে সাথে এ্যাম্বুলেন্স ডেকে মরদেহসহ তার পরিবারকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয় হাসপাতালের ডাঃ সফিউল ইসলাম আলট্রাসোনোগ্রামের চিকিৎসক হয়েও এঘটনায় শফিউল ইসলাম এ্যানেসথেসিয়া করেন।
এছাড়াও সাদিয়া ক্লিনিকে প্রাধান,ও সহকারী ডাঃ থাকার কথা থাকলেও সেটা না থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নন ডিপ্লোমা নার্স দিয়ে রুগীর সেবা করা হয় প্রতিনিয়ত। অভিযোগ পাওয়া গেছে সাদিয়া ক্লিনিকে টোটাল শিবগঞ্জ এরিয়ায় মোট দুই শতাধিকের বেশি সোর্স ছাড়া আছে,তাদের মাধ্যমে সকল রুগী আনা নেওয়া হয় সাদিয়া ক্লিনিকে।একটি গর্ভবতী সিজার অপারেশন করলে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়।এর ভিতরে সোর্সকে দেওয়া হয় কমিশন তিন ভাগের এক ভাগ।
গর্ভবতী মায়েদের নর্মালি ডেলিভারি হওয়ার সুযোগ থাকলেও তা ডাঃ সফিউল ইসলাম হতে দেননা তিনি বলেন দ্রুত সিজার করে বাচ্চা বের করতে হবে, পানি কমে গিয়েছে অপারেশন না করলে বাচ্চা ও-মাকে বাচানো আমার দ্বারা মোটেই সম্ভব নয়।এভাবেই দীর্ঘদিন যাবৎ সাদিয়া ক্লিনিকের ডাঃ ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারদের জিম্মি করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোগী মৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান ও নানারকম প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ সাদিয়া ক্লিনিকের মালিক ডা. শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে রয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসায় অবহেলার কারনে গত দুই বছরে সাদিয়া ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা অন্তত ৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। জানা যায়,নিয়মনীতি না মেনেই সে একজন আলট্রাসোনোগ্রামের চিকিৎসক হয়েও ক্লিনিকে নানারকম অপারেশন করেন ডা.শফিউল ইসলাম। এছাড়াও ক্লিনিকে কাজ করা নার্সদের সাথে নানারকম দুর্বব্যবহার ও তাদের সাথে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা রয়েছে তার ক্লিনিকে বেতনভুক্ত নাহার নামের এক অল্প বয়সী। ডা.শফিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। এসব নিয়ে বিস্তারিত থাকবে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আগামী তিন পর্বে।