কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই কেরানীগঞ্জ কালিন্দী ইউনিয়ন বড়িশুর বর্মণ পাড়া নদীর তীরে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রের একটি জমজমাট আসর বসে। নদীর মূল রাস্তার পাশে বট গাছের আড়ালে বেড়িবাঁধে মন্দিরের পিছনে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তদের অভয়ারণ্য। গত ৩০ এপ্রিল শনিবার রাত আনুমানিক ১০: ৩০ ঘটিকায় সিদ্ধেশ্বরী কলেজ এন্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র সিন্গ্ধ বর্মণ (১৮) জরুরি প্রয়োজনে কলম ক্রয়ের জন্য দোকানে যাওয়ার পথে তার পথ প্রতিরোধ করে মোঃ ওমর (আনুমানিক১৮) পিতা মোঃ(সেন্টুমিয়া) নোংরা টিস্যু পেপার নিক্ষেপ ও গালিগালাজ করে।
সিন্গ্ধ বর্মণ এর কারণ জানতে চাইলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে তার সঙ্গে থাকা১৫/২০ জনের চক্রটি বেদম প্রহার করে। সে সময় মোঃ ওমর ১০ ইঞ্চি ইটিং দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে তার সঙ্গী সাথী সহ পালিয়ে যায়। সিন্গ্ধ বর্মণের চিৎকারে আশপাশের জনতা এগিয়ে এসে তাকে প্রথমে স্হানীয় ডাক্তার খানায় প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরবর্তীত স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড হাসপাতালে) নিয়ে মাথায় তিনটি সেলাই ও অন্যান্য স্হানে মলম পট্টি করান। এই বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে মামলা নং০৫।
স্হানীয় সুত্রে জানাগেছে মোঃ ওমর এর আগেও খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে এক কিশোরকে ছুড়িকাঘাতে হত্যা কান্ডে সে ৩ নং আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন। সুত্রমতে তার এই বখাটে কান্ডের জন্য বড়িশুর থেকে তাকে সহ তার পরিবারবর্গকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। বর্তমানে পাশ্ববর্তী গ্ৰাম জিঞ্জিরা ইউনিয়ন কুশিয়ার বাগে বসবাস করছে।