রোজি আক্তার হ্যাপী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) থেকে :
পায়রা বন্দরে বাবা প্রতিন্ধি সুলতান হাওলাদার (৬৫), মা জাহানারা বেগম(৬০) অন্যের বাড়িতে ঝি’র কাজ করে। এক কন্যা সন্তানের জনক নুরে আলম হাওলাদার(৩১), প্রথমে এ্যাপেনডিস, পরে টিবি। বর্তমানে আলসারে আক্রন্ত হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী, উঠে বসতেও পারে না। দুই বছর ধরে চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে করতে এখন নি:¯প্রায়^। অথচ পায়রা সমুদ্র বন্ধর কর্তৃপক্ষ তার চাষযোগ্য ৫৭শতাংশ জমি অধিগ্রহন করার দুই বছরেও টাকা হাতে পায়নি। ফলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে নুরে আলম হাওলাদার ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইটবাড়িয়া মৌজার ১নং খাস খতিয়ান হতে সৃজিত ২৮৯নং খতিয়ানের এস,এ ৩৩৯/৬১৮নম্বর দাগের ০.৫৭ একর জমি রয়েছে সুলতান হাওলাদার ও জাহানারা বেগমের। যা এল,এ কেস নং ১৪/২০১৯-২০ এর মাধ্যমে পায়রা সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষে নামে অধিগ্রহন করা হয়েছে। অধিগ্রহনের ফাইল সকল দপ্তর পার হয়ে সহকারী কমিষনার(ভ‚মি)’র কলাপাড়া অফিসে আটকে রয়েছে। দীর্ঘ আট মাস ঘুরেও ফাইল ছাড়াতে পারেনি।
সুলতান হাওলাদার জানান, তার চার ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে।মেয়ে দুইজনকে বিয়ে দিয়েছেন। দুই ছেলে ঢাকায় দিন মজুরের কাজ করে। ছোট ছেলে খেপুপাড়া নেছার উদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসায় নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। পঞ্চম সন্তান নুরে আলম হাওলাদার গত দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। তার স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। কিন্তু টাকার অভাবে সে চিকিৎসা করাতে পারছে না। পায়রা বন্ধর কর্তৃপক্ষ তার যে চাষযোগ্য ৫৭শতাংশ জমি অধিগ্রহন করেছে সেখান থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা পাবার কথা, অদ্যবধি পায়নি।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া সহকারী কমিশনার(ভ‚মি) জগবন্ধু মন্ডল বলেন, আমি আজ এখান থেকে বদলী জনিত কারনে চলে যাচ্ছি। পরবর্তী যিনি কমিশনার হয়ে এখানে যোগদান করবে তিনি বিষটি দেখবেন