শনিবার ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ১-০ গোলে জয়ী হয়ে ২০১২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা ঘরে তুলেছে চেলসি। ম্যাচের ৪২ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন জার্মান ফরোয়ার্ড কেই হাভার্টজ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চেলসির হয়ে এটাই তার প্রথম গোল।
২০১২ সালে প্রথমবার বায়ার্ন মিউনিখকে পরাজিত করে শিরোপা জেতার নয় বছর পর দ্বিতীয় ইউরোপীয়ান শিরোপা জিতলো ব্লুজরা। ম্যাচ শেষে কাল বিটি স্পোর্টসকে ২১ বছর বয়সী হাভার্টজ বলেছেন, ‘আমি জানিনা এই মুহূর্তে আমি কি বলবো। শুধু এটাই বলবো দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি। এই মুহূর্তটির জন্য আমি ১৫ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি সত্যিই অভিভূত।’
চেলসি অধিনায়ক সিজার আজপিলিকুয়েটা তরুণ এই ফরোয়ার্ডের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘মানসিক ভাবে হাভার্টজ বেশ শক্তিশালী একজন খেলোয়াড়। এই ছেলেটি একদিন সুপারস্টার হবে, তার মধ্যে সেই যোগ্যতা আছে। আজকের এই মুর্হূতটা তার প্রাপ্য ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পর ২০১২ সালে আমি এখানে এসেছি। তারপর থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেই সাফল্য ক্লাবে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। আজ আমি সফল। আমার পরিবার এখানে আছে। সবকিছুই আমার কাছে বিশেষ মনে হচ্ছে। এটা সত্যিই আমার জন্য অন্যতম স্মরণীয় একটি দিন।’
চেলসির হয়ে অসাধারণ ম্যাচ উপহার দেবার সুবাদে ফরাসি মিডফিল্ডার এন’গোলো কন্টে ফাইনালের ম্যাচ সেরা বিবেচিত হয়েছেন। এই কৃতিত্বের পর কন্টে বলেন, ‘এটা সত্যিই অসাধারন এক অনুভূতি। পুরো মৌসুমে যত ধরনের অসুবিধার মধ্য দিয়ে আমরা এগিয়ে গিয়েছি আজ তার পুরস্কার পেলাম। এজন্য পুরো দলই কৃতিত্বের দাবীদার। আজও আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি।’
ইউরোপীয়ান শিরোপা জয়ে কন্টে মনে করেন জানুয়ারিতে ফ্র্যাংক লাম্পার্ডের স্থানে থমাস টাচেলের অন্তর্ভূক্তি নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। নতুন কোচের অধীনে দলের কৌশল, পরিকল্পনা সবকিছু পাল্টে গিয়ে চেলসি নুতন করে শুরু করেছিল বলে উল্লেখ করেন কন্টে।