ডেস্ক রিপোর্ট :
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশ এখন সম্পূর্ণ মুক্ত। তবে এর প্রভাবে অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় ৯ জেলার ২৭ উপজেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে সার্বিক ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস-এর বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই জানিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রথমেই শুকরিয়া আদায় করছি আল্লাহর কাছে। একটি বড় বিপদ থেকে বাংলাদেশ বেঁচে গেছে। সকালে ঘূর্ণিঝড় `ইয়াস` ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি বাংলাদেশে আসার কোনো সুযোগ নেই, এটা নিশ্চিত।
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ঘূর্ণিঝড় `ইয়াস` ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি এখনও অতিক্রম করছে, আশা করি বিকেল নাগাদ এটি উড়িষ্যা অতিক্রম করবে। আমাদের এখানে ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি।
তিনি জানান, অতি জোয়ার বা জলোচ্ছ্বাসে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ২৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ভোলার লালমোহন উপজেলায় গাছ চাপা পড়ে একজন মারা গেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলা প্রশাসকদের অনকূলে পর্যাপ্ত খাদ্য সামগ্রী ও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া আছে। এছাড়া আজ ঘূর্ণিঝড় `ইয়াস` এর প্রভাবে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় ৯টি জেলার ২৭টি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তা দিতে ১৬ হজার ৫০০ শুকনো ও অন্যান্য খাবারের প্যাকেট সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষনিউজ