মোঃ রাজীব হোসেন, পূবাইল, গাজীপুর প্রতিনিধিঃ
বর্তমানে প্রচন্ড তাপদহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড রোদের তাপমাত্রা, এই গরমে চলছে রোজা। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ১৫ ঘন্টা রাখতে হচ্ছে রোজা। এবছর বৈশাখে গরমের তীব্রতাও বেশি ফলে রমজানে রোজাদারদের পানি শুন্যতা যেন দেখা না দেয় এজন্য মানুষ ছুটছে ফলের বাজারে। প্রত্যেক পরিবারে ইফতারের সময় বেশি রাখা হচ্ছে তরমুজ, বাঙ্গী, ডাব, আপেল, কমলা ও বেলের শরবত। ফলের চাহিদা বেশি থাকার কারণে লাফিয়ে বাড়ছে ফলের দাম। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পূবাইল বাজার, মিরের বাজার, মাজুখান, টঙ্গী ষ্টেশন রোড এলাকায় ৮-১০ দিনের ব্যবধানে তরমজু, আপেল, মাল্টা, কমলার দাম প্রচুর উর্দ্ধগতি। ফল কিনতে আসা ক্রেতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান যে, গত সপ্তাহে তরমুজ কিনতে পেরেছি প্রতি কেজি ৩৫ টাকা তা আজ বেড়ে গিয়ে ৬০ টাকা হয়েছে। মিরের বাজারে ফল কিনতে আসা মোস্তাকিম আহমেদ তাপস জানান যে, গরমে প্রত্যেক প্রকার রসালো ফলের দাম দিগুন হয়েছে। গত সপ্তাহে একটি ডাব কিনতে পেরেছি ৭০-৮০ টাকায় তা এখন ১০০-১১০ টাকা। বর্তমানে মৌসুমি ফল হিসেবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রসালো ফল তরমুজ এর। গরমের কারণে শরীরের পানি শুন্যতা দেখা দেয়। শরীরে পানি শুন্যতা পূরণে তরমুজ খুবই উপকারি। সর্দি কাশি, জ্বর ও ইউরিনের সমস্যায় তরমুজ খুবই উপকারি। এছাড়া ডায়াবেটিক্স নিয়ন্ত্রনে তরমুজ উপকারি বন্ধু হিসেবে কাজ করে। মিরের বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী অহিউল্লাহ জানান যে, চাহিদা অনুযায়ী তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে না। সরবরাহ কম থাকায় তরমুজের দাম প্রচুর বাড়ছে। টঙ্গী ষ্টেশন এলাকার ফল ব্যবসায়ী জামান বলেন যে, আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি, লকডাউন শেষ হয়ে গেলে দাম কমতে পারে