ভারতে করোনা মহামারির উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রভাবে সৃষ্ট মানবিক বিপর্যয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক পোস্ট শেয়ার হচ্ছে। দেশটিতে ভাইরাসটির প্রভাব যে কতটা ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পরেছে সেটাই পোস্টগুলোর মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরছে। এমতাবস্থার মধ্যেই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে টুইটার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলো সরিয়ে নেয়। আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) এ খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
টুইটারের একজন মূখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, ইতিমধ্যে ভারতের করোনা পরিস্থিতি সংশ্লিষ্ট কিছু পোস্ট তারা সরিয়ে নিয়েছে। অবশ্য কোনগুলো সরানো হয়েছে সে ব্যাপারে নির্দিস্ট করে কোনো তথ্য জানাননি। এদিকে, ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করছেন দেশটির নাগরিকরা। এ নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
জরুরি ভিত্তিতে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পোস্টে সেন্সর দিতে টুইটার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি স্পষ্টভাবে কিছু না বললেও বিভিন্ন প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দোষারোপ করে একটি টুইট করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের একজন রাজনৈতিক নেতা। আরেকটি টুইটে এক অভিনেতা মোদির সমালোচনা করে বলেন, ভাইরাসটির উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেও তিনি নির্বাচনী র্যালি করেছেন। সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
টুইটার জানিয়েছে, ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বৈধ আইনি অনুরোধ পাওয়ার পর তারা কন্টেন্টগুলো খতিয়ে দেখছে। যদি কোনো পোস্ট নির্দিষ্ট উদ্দেশে অবৈধ হওয়ার উপক্রম হয় এবং টুইটারের নীতি ভঙ্গ করে তাহলে ভারত থেকে সেই কন্টেন্ট সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।