ইউসুফ আলী খান, আশুলিয়া
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা মারধর করে গুরুতর আহত করে। জাবির শিক্ষার্থীদের মারধর করে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে এবং দোষীদের শাস্তির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা বারোটার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে সাড়ে এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।
আহত চিকিৎসার ব্যয় বহন করা, দোষীদের স্থায়ী বহিষ্কার করা এবং গ্রেফতার করা, স্মৃতিসৌধে চলমান অনৈতিক কাজ বন্ধ করা সহ চার দফা দাবি উত্থাপন করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শাহরিয়ার বলেন, সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হেনস্তা ও মারধরের শিকার হতে হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আনসার সদস্যরা একজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে গুরুতর আহত করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাসায় বসে তামাশা দেখেছে। আমরা শিক্ষার্থীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানাই।
এসময় আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম কামরুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। শিক্ষার্থীদের চারদফা দাবি শুনেছি, দোষী আনসারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আনসারদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে জেনেছি। আহত শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে দোষী আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা আনসার কমান্ডার আফজাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘মোহর আলী, ওমর ফারুক, রমজান আলী ও যুগল সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসায় তাদেরকে আনসার থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচের দায়িত্ব নিবে আনসার। আমরা এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।
’এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা আহত শিক্ষার্থীর সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর রাখছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পূর্ণ আইনি সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলার বিখ্যাত বাউল কণ্ঠশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে যে কোনো ছাত্র-ছাত্রী অপমানিত হবে লাঞ্ছিত হবে এটা মেনে নেওয়া যাবে না। আমি মেনে নিতে পারি না। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে আছি এবং থাকব।