বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ
আওয়ামী সংশ্লিষ্ট বিতর্কিতদের পদায়নের প্রতিবাদে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পদ বঞ্চিত স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা
বৃহস্পতিবার সকালে টঙ্গীর চেরাগআলী মার্কেট এলাকা থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের কলেজ গেট এলাকায় এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সংক্ষিপ্ত দোয়ার আয়োজন করেন।
এসময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরিফ হোসেন হাওলাদার ও ঢাকা বিভাগীয় টিমের বহিষ্কার দাবি করেন।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বাবু, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খলিফা, টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের শাহীন আহম্মেদ, আবুল হোসেন, আশরাফুল আলম, হাসান চৌধুরী, পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইকবাল হোসেন, আক্তার হোসেন লিটন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় রাশেদুল ইসলাম বাবু বলেন ” বিভাগীয় টিম দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে সিভি জমা নিয়েছে অতীতের কর্মকান্ড যাচাই বাছাই করে রাজপথের সংগ্রামী নেতৃবৃন্দদের দিয়ে কমিটি দিবে বলে, যদি তাই হয় তবে অতীতের পদ পদবীহীন আন্দোলন সংগ্রামহীন এবং সুনির্দিষ্ট আওয়ামী সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তি জেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে আহ্বায়ক হয় কি করে। একই অভিযোগে আরো ৪/৫ জনকে পূর্ব পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটিতে রাখা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকার পরেও কমিটিতে যদি আওয়ামী সংশ্লিষ্ট লোকের পদায়ন হয় এবং আমাদের মতো দীর্ঘ দিনের কর্মীরা বাদ যায় তবে বিভাগীয় টীমের কাজ কি? আমরা অনতিবিলম্বে এই টীমের বহিষ্কার দাবী করছি
শাহীন আহম্মেদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি, আমি আরিফ হাওলাদারের হাত ধরেই রাজনীতি শুরু করি,পরবর্তীতে উনার নেতৃত্ব আমার পছন্দ না হওয়ায় আমি গাজীপুর মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সিঃ সহসভাপতি গাজী সালাউদ্দিনের হাত ধরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কার্যক্রম পরিচালনা করি, যা আরিফ হাওলাদার ভালোভাবে নেয় নাই, তার পর থেকে মহানগর পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কাগজ জমা দিলে উনি আমার কাগজ ছিড়ে ফেলে,এবং আমি পদ বঞ্চিত হয়। পুনরায় আমি টংগী পূর্ব থানায় প্রার্থী হলে আমাকে সেখান থেকেও বাদ দেয় ! আমি ৪-৫ বছর স্বেচ্ছাসেবক দল করেও আজ পরিচয়হীন।
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের বলেন “আমাদের একমাত্র দাবি অবিলম্বে স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা বিভাগীয় টীমের পদত্যাগ চাই এবং বর্তমান কমিটি স্থগিত করে ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি পূণঃমূল্যায়ন করা হোক। এবং সমস্যা সমাধানের আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য গত ৩রা অক্টোবর গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ৯টি কমিটি গঠনের পর থেকেই গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব, টঙ্গী পশ্চিম, সদর মেট্রো, বাসন, কোনাবাড়ী থানায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলছে।