এম মনিরুজ্জামান, পাবনা:
ইউনিয়ন পরিষদ সাধারণ নির্বাচনে পাবনার সুজানগরের ১০টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮টিতে আওয়ামী লীগ এবং ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বে-সরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া
১০টি ইউনিয়নেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম ইউনিয়নের ৬টি কেন্দ্রের ভোট কেটে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্বাস আলী মল্লিক। তবে এ অভিযোগ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিউল ইসলাম অস্বীকার করেছেন। এছাড়া উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের সৈয়দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, আহম্মদপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের কাচুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা কেন্দ্র এবং তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর, বাড়ই পাড়া ও কামার দুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়া নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং মেম্বার প্রার্থীদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এছাড়া সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৬টি কেন্দ্রেই ভোট শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনে উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মতিন মৃধা (নৌকা), দুলাই ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান (নৌকা), আহম্মদপুর ইউনিয়নে কামাল হোসেন (নৌকা), রাণীনগর ইউনিয়নে জিএম তৌফিকুল আলম পিযূষ (নৌকা), সাগরকান্দী ইউনিয়নে শাহীন চৌধুরী (নৌকা), নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মশিউর রহমান খান (নৌকা), মানিকহাট ইউনিয়নে শফিউল ইসলাম (নৌকা), ভায়না ইউনিয়নে আমিন উদ্দিন (নৌকা), সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (মোটরসাইকেল) ও হাটখালী ইউনিয়নে ফিরোজ আহমেদ খান (আনারস) বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।