মুশফাকুর রহমান সিলেট প্রতিনিধিঃ
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরকারী ঔষধ বাহিরে বিক্রির অভিযোগ পুরনো। প্রায়ই পাচারকালে জড়িতরা পুলিশের হাতে আটক হলেও বন্ধ হয়নি ঔষধ পাচার। কারণ নেপথ্যের কারিগররা থেকে যায় ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
শনিবার হাসপাতাল থেকে সরকারী ঔষধ নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ১ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু সরকারী ঔষধ ও ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম বাবুল হোসেন (৪০)। সে সিলেট নগরীর খাসদবির এলাকার চুনু মিয়ার ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল।
তিনি জানান, বাবুল জিজ্ঞাসাবাদে হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবার ওটির (ডেলিভারি ওয়ার্ড) নার্সের ইনচার্জ খাদিজা খানের নাম বলেছেন। তার ভাষ্যমতে ওই ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স খাদিজা তাকে ঔষধগুলো দিয়েছিলেন।
ঔষধগুলো দেয়ার কথা স্বীকার করে খাদিজা খান বলেন, বাবুল আমার খালাত ভাই। খালু অসুস্থ। ডাক্তার খালুকে কিছু ঔষধ লিখে দিয়েছিলো। এজন্য আমি আত্মীয় হিসেবে ঔষধগুলো দিয়েছি। এর বেশি কিছু না। এই ওসমানী হাসপাতালে ২২ বছরের চাকরির জীবনে তার সম্পর্কে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি বলে জানান তিনি।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ছুটিতে আছি। এ ঘটনাটি এখনো জানি না। ছুটি থেকে ফিরে এসে বিষয়টি দেখব।