তথ্যমন্ত্রী ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যেন ন্যায়বিচার পায় সে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং এ বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হবে। তার জন্য যা করা সম্ভব, সবই করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর মিন্টু রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে এক মতবিনিময় সভায় সংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম যাতে ন্যায়বিচার পান সেটি নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা চালানো হবে। একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে, রোজিনা ইসলামেরও ভুল হতে পারে।’
বিষয়টি আবেগের সঙ্গে না দেখে বাস্তবতা প্রেক্ষিতে দেখতে হবে এবং কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গত সোমবার দুপুরের পর পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান রোজিনা ইসলাম। এ সময় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর রাত সাড়ে আটটার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাকে রাত ৯টার দিকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধিতে মামলা করা হয়।
এরপর মঙ্গলবার পুলিশ রোজিনা ইসলামকে ওই মামলায় গেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে। একই সঙ্গে তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। অন্যদিকে রোজিনা ইসলামের জামিনের আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। ওই দিন শুনানি নিয়ে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম রিমান্ড আবেদন নাকচ করেন এবং রোজিনার জামিন আবেদনের ওপর অধিকতর শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন। সেদিন আদালতের নির্দেশে রোজিনাকে কারাগারে পাঠানো হয়।