1. admin@kholanewsbd24.com : admin :
সমন্বিত চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকার নামে জোড়াতালি বন্ধ করুন । - খোলা নিউজ বিডি ২৪
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
বাবুর দখলে টঙ্গীবাজারের ফুটপাত দেওয়ানগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অপসারন ও পুনরায় তফসিল ঘোসনার দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা কন্যার আকুল আকুতি টঙ্গীতে ৬ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার পটুয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী তারিকুজ্জামান মনি নড়াইলে ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টা থানায় মামলা দায়ের আসামী পলাতক পিরোজপুরে এখন টেলিভিশনের প্রতিনিধির আত্মহত্যার চেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ টাকার হাট’ হাসি ফুটিয়েছে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মুখে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা আনসার ও ভিডিপি সমাবেশ অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা পরিষদের এককালিন আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ

সমন্বিত চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকার নামে জোড়াতালি বন্ধ করুন ।

প্রশাসন
  • সময় : শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১
  • ১৬৭ বার পঠিত

প্রেসবিজ্ঞপ্তি

সমন্বিত চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধা তালিকার নামে জোড়াতালি
বন্ধ করুন । আবীর আহাদ

মুক্তিযোদ্ধা চূড়ান্ত তালিকার ১ম, ২য় , ৩য় ও ৪র্থ পর্বের পর তথাকথিত সমন্বিত তালিকা নামক যে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছে তার মধ্যে বিশাল গোঁজামিলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান আবীর আহাদ অভিমত ব্যক্ত করে বলেছেন, অনেক এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতীয় প্রমাণকে যাদের নাম রয়েছে তাদের অনেকের নাম চূড়ান্ত তালিকায় না এলেও বহু বিতর্কিত লাল মুক্তিবার্তা ও বেসামরিক গেজেটের বিপুলসংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নাম সমন্বিত চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশিত হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা মহলে চরম ক্ষোভ, অস্বস্তি ও হতাশা বিরাজ করছে।

আজ এক বিবৃতিতে আবীর আহাদ উপরোক্ত মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যে ভারতীয় তালিকা অন্যান্য তালিকার মধ্যে সবচে’ স্বচ্ছ, সেই তালিকার বিপুলসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধার নাম ঘোষিত চূড়ান্ত পর্বে প্রকাশিত তালিকার মধ্যে না এলেও সবচে’ বিতর্কিত বেসামরিক গেজেট ও লাল মুক্তিবার্তার মুক্তিযোদ্ধাদের নাম কীভাবে এসব পর্বে এলো তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। রাজশাহী, নড়াইল, পাবনা, রংপুর, কুমিল্লা, বরিশাল,ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ভারতীয় প্রমাণক তালিকার মুক্তিযোদ্ধরা অভিযোগ করেছেন যে, তাদের এলাকার অনেক প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম না এলেও অনেক চিহ্নিত অমুক্তিযোদ্ধার নাম তথাকথিত সমন্বিত তালিকায় শোভা পাচ্ছে !

আবীর আহাদ বলেন, বাহিনী গেজেট, মুজিবনগর গেজেট, লাল মুক্তিবার্তা ও বেসামরিক গেজেটধারীদের মধ্যেই যেখানে সবচে’ বেশি অমুক্তিযোদ্ধা এমনকি রাজাকাররাও মুক্তিযোদ্ধা সেজে বসে আছে, যাদের সঠিকতা বিষয়ে এখনো ফয়সালা হয়নি । এখনো অনেক এলাকার যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি । অনেকে আপিলের মধ্যে রয়েছে । এমনকি একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা নাকি এদের সম্পর্কে এখনো তদন্ত করছেন—-তাহলে তাদের নাম কীভাবে ঘোষিত চূড়ান্ত তালিকায় আসছে তা বড়োই বিস্ময়কর বটে !

বিবৃতিতে আবীর আহাদ বলেন, আমরা জানি যে, এ পর্যন্ত সরকারি খাতায় আসল-নকল মিশ্রিত ২ লক্ষ ৩৫ হাজারের মতো মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন এবং বলা চলে তাদের সবার নামই MIS ( Management Information System) তালিকাভুক্ত। তো ইতোমধ্যে প্রকাশিত সমন্বিত তালিকা দেখে আমাদের মনে এ ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, যতোই যাচাই বাছাই কার্যক্রম হোক না কেনো, বর্তমান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) নানান ফন্দিফিকির, জোড়াতালি ও গোঁজামিল দিয়ে আসলে MIS তালিকাকেই শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা বলে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। মাঝখানে বিভিন্ন সময় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কার্যক্রমের নামে সরকারের যে বিপুল অর্থের অপচয়ের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি ও মুক্তিযোদ্ধা মহলে এক উদগ্র বাণিজ্যিক ধান্দা করা হলো তা মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে এক নির্মম তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

আবীর আহাদ সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বলেছিলেন যে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় ৪০/৫০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ঢুকিয়ে গেছে, তারা তদন্ত করে তাদের বাদ দেবেন । কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, তাদেরকে তো বাদ দেয়া হলোই না, উপরন্তু নিজেরাই বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞা পাশ কাটিয়ে গোঁজামিল সংজ্ঞা দিয়ে আরো বিপুলসংখ্যক অমুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আমরা হলফ করে বলতে পারি, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বসাকুল্য সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজারের নিচে, অথচ ৮০/৮৫ হাজার অমুক্তিযোদ্ধার সাথে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একসাথে এক তালিকার মধ্যে থাকতে হচ্ছে যা চরম অস্বস্তি ও অমর্যাদাকর । এভাবে সাধারণ মানুষের কাছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের ওপর ভুয়ার কলঙ্ক চাপিয়ে দিয়ে তাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করা হলো । কারণ সাধারণ জনগণও দেখছে যে, তাদের এলাকার অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা না থাকলেও তারা আজ মুক্তিযোদ্ধা সেজে সরকার তথা জনগণের অর্থ লুটপাট করে খাচ্ছে ! ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারাও তাদের চোখে বিতৃষ্ণার বস্তুতে পরিণত হচ্ছেন । সরকার না বুঝলেও আমরা বুঝি, বিএনপি-জামায়াতের হাতে তৈরি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাসহ যেসব টাউট-বাটপাঢ় ও রাজাকাররা আওয়ামী লীগ সরকারের অপরিপক্ষ ও গোঁজামিল মুক্তিযোদ্ধা সংজ্ঞায় অর্থ, আত্মীয়তা ও রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন, তারা কেউ আওয়ামী লীগের বন্ধু নয়, তারা সুবিধাবাদীচক্র।

পরিশেষে আবীর আহাদ মুক্তিযুদ্ধের পবিত্রতা রক্ষা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় মর্যাদার স্বার্থে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে আরো কিছুদিন সময় নিয়ে হলেও ‘একটি বিচার বিভাগ ও সামরিক বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কমিশন’ গঠন করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন করার ওপর সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন ।

* আবীর আহাদ
চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা