নিউজ ডেস্ক, এস আর টুটুল এম এল!
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত,
৩৪১ সদস্য বিশিষ্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র লীগ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে গত ৩০-১০-২১ইং তারিখে
রুবেল হোসেনকে সভাপতি ও সাহাদাত হোসেন শোভনকে সাধারণ সম্পাদক করে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র লীগ কমিটি গঠন করা হয়। এতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণত সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত, ৩৪১ সদস্য বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্র লীগ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।কিন্তু ঐ তারিখে তারা দুজন বিদেশে সফরে ছিলেন ৷ তা নিয়ে এলাকার মানুষ অসন্তুষ্ট
ওই কমিটিতে এইট পাস অছাত্র এবং বিএনপির ছাত্র দল শিবির করা প্রায় একশত জনের নাম দেখা যায়৷ স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জামাত জঙ্গি রাজাকার প্রজন্ম, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীসহ অবৈধ অস্ত্র ও মাদক মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি এবং বিবাহিত অছাত্ররা বিভিন্ন পদে স্থান পেয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় যারা বিএনপির জালাও পোড়াও এর বিরুদ্ধে মাঠে ছিলেন তারা প্রতিবাদ করে ৷
একটি সুত্রে জানা যায় যে উক্ত কমিটি গঠনের পেছনে কোটি টাকার বিনিময় হয়৷ আরো জানা যায় পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক আফসার সাইফ একজন অছাত্র ও বিবাহিত বর্তমানে সে পিপলস ফ্যার্মাসিউটিক্যালস এ চাকুরীরত রয়েছে।
এবিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় সংসদ সদস্য আ. ম. ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দ্য-ডেইলি স্টারকে বলেন, এই কমিটি করতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতারা জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করে নাই। তারা আমাদের পরামর্শ না নিয়ে কমিটি করেছে।
আমরা এটি পছন্দ করিনি। এই ধরনের অনিয়ম হওয়া উচিত নয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়াও এই অযোগ্য জামাত শিবির প্রজন্মের লোকদের দ্বারা গঠিত কমিটি বিলুপ্তি করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে কমিটি দেওয়ার জন্য রাজনৈতিক সচেতন মহল ও এলাকাবাসী সাত দিনের আল্টিমেট দিয়েছে। তারা এই অযোগ্য জামাত শিবিরের লোকদের দ্বারা গঠিত কমিটি বিলুপ্তি করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে কমিটি দেওয়ার আহবান জানান।