স্টাফ রিপোর্টারঃ
৭১’এ গোপনে ও প্রকাশ্যে এদেশীয় পাকিস্তানি দোসর, যারা এদেশের স্বাধীনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের একজনও স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় নাই! এবং এদেশ ছেড়ে পাকিস্তানেও চলে যায় নাই!
সেদিনের সেই ভয়ঙ্কর খুনী, লুটেরা ও লক্ষ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমহরণকারী মানুষরূপী পিশাচের দল আজ সাধু সেজে মিশে গিয়েছে রাস্ট্রযন্ত্রসহ সর্বসাধারণের মাঝে!
গোপনে পরাজয়ের গ্লানি বয়ে বেড়ানো সেই স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকারদের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী চেতনায় বেড়ে উঠা বংশধররা আজ প্রকাশ্যে নিজ গায়ে #আমি_রাজাকার লিখে ৭১’এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায়!
বাঙালির হৃদয় থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে দিতে সংখ্যায় বেড়ে উঠা এই স্বাধীনতা বিরোধীদের বংশধররা একদিন দেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার কূটকৌশলে লিপ্ত! অন্যান্য সকল কোটা বহাল রেখে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী আন্দোলন করে শুধুমাত্র বীরমুক্তিযোদ্ধার বংশধরদের প্রশাসনের উচ্চস্তর থেকে দূরে সরিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্র কুক্ষিগত করার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করা এমনই একটি সূদুরপ্রসারী নীল নকশার অংশমাত্র!
বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ভাবে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাস্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদার হওয়া আর দিন দিন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর অত্যাচার-নির্যাতন ও হামলা-মামলা বেড়ে যাওয়া আমাদের শংকিত করে তুলছে!
তাই, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সূরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা এখন সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবি।
স্বাধীনতা বিরোধী ও তাদের উত্তরসূরীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অব্যহত তৎপরতার কারণে আজ আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। অনেক প্রাণ আর রক্ত দানের বিনিময়ে নিজেদের বীর পিতৃপুরুষের অর্জিত স্বাধীনতা ও তাঁদের সম্মান রক্ষায় প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মকের প্রস্তুত থাকতে হবে সবসময়।।
ছবিঃ বীরমুক্তিযোদ্ধা ও সন্তানদের মতবিনিময় সভা।
স্থানঃ মধুপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
১/১০/২০২১খ্রীঃ