শেখ সালমান হোসাইন :
নভেম্বর মাস। এ মাসের শুরুতেই শীতের আবহ শুরু। বাতাসে হিমের ছোঁয়া, গাঁ শিরশির করে। ঘাঁসের ওপর জমে থাকে শিশির বিন্দু।
সত্যি শিউলির প্রলোভনেই হেমন্তের হাত ধরে আসে শীত। ছাতিম আর শিউলি ফুলের ঘ্রাণ ছাড়া শীতের আগমন যেন নিষ্প্রাণ, ছন্দ-গন্ধহীন।
হেমন্ত যেন শীতের পূর্বাভাস। হেমন্তের সন্ধ্যে গড়ালেই মৃদু কুয়াশা; বাতাসে শীতের হিম হিম স্পর্শ। কুয়াশার আঁচল সরিয়ে শিশিরবিন্দু মুক্তো দানার মতো দ্যুতি ছড়ায় ভোরের নরম রোদে।
ষড়ঋতুর দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এ সময় প্রকৃতিতে চলে বর্ষার বিদায় আর শীতের আগমনের প্রস্তুতি। হেমন্তের রোদ বিলাসী প্রতিটি বিকেল বলে দেয়, এইতো শীত আসছে একটু একটু করে।
খুব ভুরে শিশিরে ভিজে লাল টকটকে হয়ে ওঠে বারান্দায় টবের লাল গোলাপ।
শীতের শুস্ক-রুক্ষ প্রকৃতির অপবাদ ঘোচাতে এ সময় গাঁদা, মল্লিকা, গোলাপ, ডালিয়া, ফিরে পায় পূর্ণ জৌলুস; গাঢ় হয় কলাপাতার রঙ।
শীতের প্রথম দিকেই আবহ বাংলার মাঠে মাঠে উর্বরতার উচ্ছ্বাসে
বাহারি যত সবজির চারা গজানোর প্রাক্কাল।
যেমন, শীতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, পালংশাক, শালগম, শিম, টমেটো, পেঁয়াজ পাতা, লাউ, গাজর, ধনিয়াপাতা ইত্যাদি।
ঋতুর পালাবদলে ঐতিহ্যের বাহক এই শীতের আগমনে জুবুথুবু মাঠ-ঘাট। নিরবতার চাদরে ঢাকে সকাল সন্ধ্যে শিশির ভেজা স্নিগ্ধ প্রকৃতি।
মানব মনকে জাগিয়ে নবান্ন আর পিঠাপুলির উৎসবের বার্তা ছড়িয়ে যায় বাংলার দিক-দিগন্তে।