এস আর টুটুল এম এল- মানবতার সংবাদ প্রকাশ!
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে রাজপথের অগ্নি ঝরা সংগ্রাম করে নানা ঘাত-প্রতিঘাত স্বয়ে মোহাম্মদ আলী (মাহাম) চেয়ারম্যান ও আব্দুল করিম সরকার তানোরে আ’লীগ প্রতিষ্ঠিত করেন।
তৎকালি তানোর- মুন্ডুমালা ফজর আলী মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা, শহীদ মতিউর রহমানের ৩ জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন’ তাঁরা যথাক্রমে; মোহাম্মদ আলী (মাহাম), চিনাশো গ্রামের মোঃ ইসরাইল হোসেন এবং মুন্ডুমালা সর্দার মার্কেটের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব ইউনুস আলী সর্দার।
প্রসংগত উল্লেখ্য মুন্ডুমালার মতো একটি নিভৃত পল্লীতে প্রায় ৬০/৬৫ বছর আগে মার্কেট নির্মাণে, যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন ইউনুস আলী সর্দার, তা আজ ভাবতেও অবাক লাগে, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎ বিহীন, নিরেট এক পল্লী এলাকায় মার্কেট নির্মানে তিনিই প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন।
আজকের মুন্ডুমালা সর্দার মার্কেট তার প্রকৃত উদাহরণ।
যাই হোক যেখানেই মতিউর রহমান সেখানেই তাঁর অন্য ৩ জন বন্ধুরাও।
স্বাধীনতার পর স্বাভাবিক ভাবেই পাঁচন্দর ইউনিয়নের রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান হলেন মোহাম্মদ আলী (মাহাম), বাধাইড় ইউনিয়নে দায়ীত্ব পেলেন ডাঃ শমসের আলী, কলমা ইউনিয়নের দায়ীত্ব পেলেন শাফিউল ইসলাম, কাঁমারগাঁও ইউনিয়নের দায়ীত্ব পেলেন মেশের আলী প্রমুখ।
তখন নক্সসালদের তথা বামপন্থীদের অত্যাচার চরমে।
উদ্দেশ্যবিহীন গন্তব্যে, দিশাহীন নেতৃত্বশুন্য নক্সসালেরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে, বিশেষ করে রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যানদের হত্যার নিশায় মেতে উঠেছিল। গ্রাম ছেড়ে মতিউর আশ্রয় নিলেন রাজশাহী রানীবাজারের শুকুর জর্দা ফ্যাক্টরির পাশে তাঁর বন্ধু ইসরাইল হোসেনের বাড়ীতে।
মোহাম্মদ আলী মাহামও বন্ধুর সাথে রাজশাহী চলে আগেলেন। ছেড়ে দিলেন রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়ীত্ব। একই সাথে ডাঃ শমসের আলীও তাঁর দায়ীত্ব ছেড়ে দিলেন। প্রানের মায়া বড় মায়া!
রাজশাহীতে এসেও মতিউর রহমান দুষ্কৃতিকারিদের হাতে রাতের আঁধারে নিহত হলেন। ফজর আলী মোল্লা কলেজ হারাল তার অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী। বন্ধুর অনুপস্থিতিতে মোহাম্মদ আলী মাহাম দীর্ঘদিন কলেজের সেক্রেটারীর দায়ীত্ব পালন করলেন। শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছেন না কলেজ কর্তৃপক্ষ, মোহাম্মদ আলী (মাহাম)নিজের গোলার ধান বিক্রি করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন প্রায়শ্বই।
কবির পঞ্চায়েত ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়াতেন অথবা গরুর গাড়ীতে। অবশ্য বরেন্দ্র এলাকার স্বচ্ছল ব্যাক্তিদের তখন কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথে কিংবা একটু রোদেই আবার শুষ্কং পথে গরু কিংবা মহিষের গাড়ীই একমাত্র ভরসা ছিল। কিন্তু মোহাম্মদ আলী মাহাম নিজেই অনেক সময় তাঁর নিজেস্ব ট্রাক্টর চালিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে এখানে- ওখানে সবখানে সাধারণ মানুষের নানাবীধ সমস্যার সমাধা, দলিয় মিটিংয়ে, প্রচারে, বিচারে সালিশে যেতেন। অবশ্য কখনও কখনও নিজ সুযোকি হোন্ডা ছুটেও বেড়াতেন তিনি।
তাঁরই সুযোগ্য সন্তান আওয়ামী লীগের চরম দুঃসময়ে রাজপথের অগ্নি ঝরা সংগ্রামের মাধ্যমে গড়ে উঠা তৃনমুলের আস্থাভাজন ও কর্মী বান্ধব আ’লীগ নেতা, সময়ের পরিক্ষায় উত্তীর্ণ সংগ্রামী মুজিব সেনা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আদর্শের আপোষহীন রাজনৈতীক যোদ্ধা, তানোর- গোদাগাড়ী উপজেলার খেটে খাওয়া কৃষক শ্রমিক মেহনতী মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় স্থান পাওয়া নেতৃত্বপুণ্য জননেতা গোলাম রাব্বানী কে আসন্ন তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে পুণরায় সভাপতি পদে সমর্থন দিয়েছেন, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোল্লাপাড়া বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, জননেতা রাকিবুল হাসান সরকার (পাপুল- ভাই) ও তানোর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমরুল হক। রাজশাহী জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, মৃদুল কুমার ঘোষ। তানোর পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, সাধারণ সম্পাদক ওহাব সরদারসহ ৯৫ ভাগ নেতাকর্মীগণ।
এছাড়াও তাঁরা তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ড- ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট- সেক্রেটারিদের পুণরায় গোলাম রাব্বানীকে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।
এবং তাঁরা মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া করে বলেন, হে সর্বময় ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ তুমি তাঁর সহায়-হও, দীর্ঘ সফল জীবন দান কর- আমিন!