ডালিয়া আল মীম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ সার্জনস ফর স্লিপ আপনিয়া- এর জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডাঃ মনিলাল আইচ লিটু বলছেন বৈশ্বিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে করোনা মহামারির এ সময়ে ৪৫-৫০ ভাগ মানুষের ঘুম নিয়ে সমস্যা হচ্ছে যা থেকে বিষন্নতাসহ নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে।রাতে বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ! সারাদিনের পরিশ্রম, ক্লান্তি, চোখের পাতা বুজেও আসছে, কিন্তু ঘুমের পাত্তা নেই! আজকালকার ‘ফাস্ট লাইফস্টাইল’-এর কারণে কমবেশি সবাই-ই ঘুমের সমস্যায় ভোগেন! কারণ? মূলত কর্মক্ষেত্রে চাপ, শারীরিক কসরতের অভাব, মোবাইল বা ইন্টারনেটে আসক্তি!
“বিশেষজ্ঞরা বলছেন এখন ঘুমের মহামারি চলছে। এর কারণ হিসেবে তারা করোনার জন্য চাকুরী হারানো, আয় নিয়ে উদ্বেগ, ব্লু লাইট এফেক্ট (বাচ্চাদের মোবাইল বা ডিভাইস ব্যবহারের প্রতিক্রিয়া), পারিবারিক সহিংসতা ও কাজের ক্ষেত্রে উদ্বেগ বেড়ে যাওয়া, করোনা আতংক তৈরি হওয়া, মদ্যপান ও ধূমপান বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলোর কথা বলছেন,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন তিনি।
ঘুম না আসলে শেষ পর্যন্ত দ্বারস্থ ঘুমের ওষুধের ! অজান্তেই আপনি কিন্তু ট্র্যাঙ্কুইলাইজার বা ঘুমের ওষুধে আষক্ত হয়ে পড়ছেন! পাশাপাশি, এমনটা লাগাতার চলতে থাকলে অচিরেই শরীরে বাসা বাঁধবে ইনসোমনিয়া-র মতো অসুখ! মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন, হ্যালুসিনেশন থেকে শুরু করে নানারকমের মানসিক অসুখও দেখা দিতে পারে ! কাজেই আগে থাকতেই সতর্ক হন! সামান্য কয়েকটা বিষয়ে নজর রাখুন! দেখবেন, ঘুমের সমস্যা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে।ঘুমের সময় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, মিউজিক প্লেয়ার বিছানা থেকে শতহাত দূরে রাখুন! বেড-সাইড টেবিলে জ্বালাতে পারেন সুগন্ধি মোমবাতি !
রোজকার রুটিনে যোগ-ব্যায়ামের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় রাখুন!
ভাবতেই পারেন, সারাদিন এত পরিশ্রমের পর আবার ব্যায়াম? উত্তর হল_ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিশ্রম কিন্তু মস্তিষ্কের হয়! শরীর তো গোটা দিনই প্রায় চেয়ারে বসে ছিল।সারাদিন ‘জাঙ্ক ফুড’ মানে এককথায়, বাড়ির তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার নয়, অস্বাস্থ্যকর কিন্তু মুখোরোচক খাবার খেলে রাতের ঘুমের কিন্তু বারোটা বাজবে।সারাদিনের ব্যস্ত রুটিনের জেরে অনেকসময়ই মনে বাসা বাঁধে দুশ্চিন্তা, হতাশা, মানসিক অস্বস্তি । ফলে ঘুম জানলা দিয়ে পালায় । এই অবস্থায় ঘুমানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার ।সমাধান হল- দুশ্চিন্তা ও অস্বস্তিগুলো কাছের মানুষজনের সঙ্গে ভাগ করে নিন।তারপরেও যদি সমস্যা না কমে, তবে কিন্তু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।