ডালিয়া আল মীম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রসুন হল একটি প্রাচীন ওষধি ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাবিশেষ হিসেবে পরিচিত৷ এটি শুধু যে খাবার স্বাদ এনে দেয় তা নয়, এটি শরীরে সেলেনিয়াম ও ভিটামিন সি-য়ের মাত্রাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে যা শরীর পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী৷নিম্নে রসুনের কিছু উপকারিতা দেওয়া হলোঃ
১. প্রতিদিন মাত্র দুই কোয়া রসুন খেলে হৃৎপিণ্ড সুসম্য থাকে। রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
২. শিরা-উপশিরায় রক্ত জমাট বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে। যা মারাত্মক রোগ অর্থেরোসেক্লরোসিসের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে।
৩.নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করে।
৪.কাঁচা রসুনের পুষ্টি উপাদান গিঁটবাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৫.কাঁচা রসুন হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
৬.কাঁচা রসুনের পুষ্টি উপাদান কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৭.কাঁচা রসুন নিয়মিত খাওয়ার ফলে গলব্লাডার ক্যান্সারমুক্ত রাখে এবং স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৮.এর কার্যকরী উপাদান বিভিন্ন ফ্লু এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৯.কাঁচা রসুনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ ও জন্ম এবং বংশ বিস্তারে বাধা প্রদান করে।
১০.রসুন দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যাথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়। যক্ষ্মারোগের হাত থেকে রক্ষা করে।
১১.রসুন পরিপাকতন্ত্রের নানা সমস্যা দূর করে। হজমশক্তি বাড়ায়।
১২.নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলে ক্ষুধামন্দা ভাব দূর হয়।
১৩.চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
১৪.নিয়মিত দুই কোয়া কাঁচা রসুন ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১৫.রসুন হাতে পায়ে ব্যথা দূর করে এবং বাতের ব্যথা ভালো করে।
১৬.রসুন বিভিন্ন চর্মরোগের হাত থেকে রক্ষা করে। চামড়ায় ফোসকা পড়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়।
১৭.কাঁচা রসুন দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দাঁতের ব্যথা সারাতে সহায়তা করে।।
১৮.কাঁচা রসুনের ফাইটোনসাইড অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্ট নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
১৯.রসুন দীর্ঘমেয়াদি হুপিংক্যাশি ও ব্রাঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২০.রসুন ব্রণ সমস্যা দূরে রাখে। ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।