ডালিয়া আল মীম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রঙিন সব নকশায় হাত সাজাতে মেহেদি পাতার জুড়ি নেই। চুলের যত্নেও মেহেদি পাতা সমান কার্যকর। তবে হাত সাজানো আর চুলের যত্ন ছাড়াও মেহেদি পাতা শরীরের জন্য অনেক উপকারি। মেহেদি পাতা মানব জীবনে অনেক রোগের ক্ষেত্রেও উপকারে আসে। এই পাতার ঔষধি গুণও যে আছে তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আসুন জেনে নেই মেহেদি পাতার ঔষধি গুণ সর্ম্পকে-

মাথাব্যথা নিরাময় করেঃ মেহেদি গাছের ফুল মাথাব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। এই ফুল পেস্ট করে এর সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। এটি কপালে অথবা ব্যথার স্থানে লাগিয়ে উপকার পেতে পারেন। এছাড়া আপনি মেহেদির পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।

বয়সের ছাপ দূর করেঃ বয়সের ছাপ (বলিরেখা) দূর করতেও মেহেদির তুলনা নেই। ভাবছেন ত্বক লাল হয়ে যাবে কি না? মুখের ত্বকে মেহেদি ব্যবহারের নিময়টি পুরো আলাদা। আপনার প্রতিদিনের ফেসপ্যাকে মিশিয়ে নিতে পারেন কয়েক ফোটা মেহেদি পাতার রস। তবে ফেসপ্যাক ১০ মিনিটের বেশি রাখা যাবে না। নিয়মিত ব্যবহারে বলিরেখা হবে দূর।

খুশকি দূর করেঃ খুশকি দূর করতে মেহেদি বেশ কার্যকরী। সরিষা তেল, মেথি, মেহেদি পাতা সেদ্ধ একসঙ্গে যোগ করে এটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি খুশকি দূর করে চুলকে করে ঝলমলে সুন্দর।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ মেহেদি পাতা হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। মেহেদির রস বা বীজ নিয়মিত খেলে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ও রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এটি ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে হার্ট অ্যাটাক ও স্টোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

পায়ের জ্বালাপোড়া কমায়ঃ মেহেদি পাতা ভিনেগারে ভিজিয়ে এক জোড়া মোজার ভেতরে রেখে দিন। এবার এই মোজাটি পায়ে সারা রাত পরে থাকুন। এটি পায়ের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দিবে অনেকখানি।

চুলকানি বা ঘা শুকাতে সাহায্য করেঃ মেহেদির পেস্ট পিঠ, ঘাড় এবং ঘামাচি আক্রান্ত অন্যান্য স্থানে লাগান। এটি ঘামাচির চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া হ্রাস করতে সাহায্য করে। এই মেহেদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন মাউথ ওয়াশ। মেহেদি পাতা গুঁড়ো পানিতে গুলিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কুলকুচি করুন। এটি মুখের ঘা দ্রুত ভাল করে থাকে এবং মুখ জীবাণুমুক্ত করে তোলে।

ক্ষত সারায়ঃ পুরনো ক্ষত, যেগুলো বার বার ফিরে আসে, এসব ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে মেহেদি। মেহেদিপাতা বেটে এরকম ক্ষতে লাগিয়ে রাখুন।

পানি পচা রোগেঃ সাধারণত নোংরা, জীবাণুযুক্ত পানি লেগে এই রোগ হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ পানিতে কাজ করলেও এ রোগ হতে পারে। এতে দুই আঙ্গুলের মাঝের অংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষতে মেহেদির প্রলেপ লাগিয়ে রাখলে ঘা ভালো হয়ে যায়।

পা ফাটাঃ শীতকালে তো পা হরদম ফাটে। তবে কারো কারো বার মাসই পা ফাটার সমস্যা থাকে। এ ছাড়া চামড়া ওঠার সমস্যাও থাকে অনেকের। মেহেদি পাতা বেটে ফাটা জায়গায় পুরু প্রলেপ দিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে পা ফাটা প্রতিরোধ হবে।