পর্ব
১৯টি এজাহার নামীয় আসামি এবং তার নামে খোদ ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে পুলিশের কাছে প্রেফতার হয়েছিল এমন একজনকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী মৎসজীবী লীগ টেকনাফ উপজেলার সভাপতি হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন। কক্সবাজার জেলা মৎসজীবিলীগের সভাপতি একেএম আজিজুল হকের নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানান নীজ দলীয় স্থানীয় নেতা কর্মীরা, এবং তদন্ত করে সভাপতি আজিজুল হককে দলথেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করে কক্সবাজার জেলা কমিটিকে নির্দেশনা প্রধান করেন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেন, কিন্ত জেলা সভাপতি আজিজুল হক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যাতে কোনভাবেই প্রমানিত হয়ে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থার বাস্তবায়ন নাহয় তা নিয়ে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন বলে জানাযায়।
যে কারনে কাউকে কিছু না বলে সৎ, ত্যাগী, ন্যায়পরায়ন, সচ্ছরাজনৈক ব্যক্তিও মুজিব আর্দশের লডাকু রাজপথে সৈনিক সাবেক জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি হারুন অর রশিদ সহ একাধিক যোগ্য নেতাদের একাংশ মৎসজীবিলীগ সংগঠন ত্যাগ করতে বাধ্য হন। কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবু তালেবের লিখিত প্রত্যায়নে
বিশেষভাবে প্রমানিত তত্ত্বসুত্রে আরো জানাযায় ঈদগাঁহ সাংগঠনিক উপজেলায় নুরুল আমিন নামের একজন জঙ্গি কে কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী মৎসজীবীলীগের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন জেলা সভাপতি । যে নুরুল আমিন ২০০৮ -২০০৯ সালে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় ও কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর হলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীল ও রাষ্টদ্রোহী, জালাও-পোড়াওয়ের কাজে সরাসরি অংশগ্রহণ, এবং সরকার বিরোধী মিছিলের নেতৃত্ব দানকারী জঙ্গী নুরুল আমিন জীবনে কোনদিন আওয়ামীলীগের কোন সহযোগী সংগঠনের সাথে আগে যুক্ত ছিল কিনা তা হতিয়ে না দেখে জামাত-শিবিরের রাজনিতীর সাথে সরাসরি জড়িত এই ব্যক্তি কে সভাপতির দায়িত্ব অর্পণের মতো গর্হিত কাজ করেন।
এতে জেলার অভিযোগকারি নেতারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বর্তমানে ঘোষনা কে কোন তোয়াক্কা না করে বিপুল অন্কের টাকা নিয়ে এমন বাণিজ্য করে গেলেও তার লাগাম টেনে ধরার যেন কেউ নেই।
তাছাড়াও এই জেলা আওয়ামী মৎসজীবীলীগ সভাপতি আজিজুল হক কে ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে জেলা পর্যায় পর্যন্ত যেই মুটা অঙ্কের টাকা দিতে পারে তাকেই সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হিসাবে আওয়ামী মৎসজীবিলীগে স্বীকার করার মতো ন্যাক্কার জনক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন বলে জানাযায়।
কুতুবদিয়া উপজেলার সাবেক এক সভাপতি কে প্রতিমাসে আজিজুল হক কে চাঁদা ও ধান্দা দিতে না পারায় আজিজের ছোট ভাই ২০১০ সালের বিডিআর হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা সেজামের প্ররোচনায় কমিটি বাতিল দেখিয়ে বি এন পি পরিবারের একাধিক যুবককে নিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলায় নতূন কমিটি ঘোষনা সহ একাধিক লজ্জাকর ঘটনা ঘটানোর ইতিহাস রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সাবেক কুতুবদিয়ার ঐ সভাপতি সরওয়ার আলম সিকদার আরো বলেন, সে কুতুবদিয়ারই সন্তান। সে আরো বলেন এখানে কোন পরিবারের লোক কোন দলের তা আমার অজানা নয়। আজিজুল হকেরর পরিবার একটি বিএনপি পরিবার বলে পরিচিত । তার ভাইকে বিডিআ হত্যা মামলা থেকে বাচানোর জন্য ও নিজেরা আপন ছোট বোনের জামাইকে হত্যার মামলা সহ ২০০৯ সালের আওয়ামীলীগের অভাবনীয় সাফল্য দেখে সুচতুর আজিজ ২০১১ সালের শুরুরধিকে আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবীলীগের কমিটি এনে সেই থেকে কমিটি বাণিজ্য, টাকার বিনিময়ে এক কমিটি বাতিল অন্য কমিটি ঘোষনা করা তার নিত্যদিনের রুটিরুজিতে পরিনত হয়ে উঠেছে জানান দলীয় নেতা কর্মীরা।
সরওয়ার আলম সিকদার বলেন, অবশ্যই আজিজুল কহ আজ হাইব্রিড নেতা হিসাবে সত্যিকারের সফল একজন নেতা হয়ে উঠেছেন।কারন নিজেরা ছোট বোনের জামাইকে হত্যা মামলা থেকে প্রভাব খাটিয়ে অব্যাহতি লাভ, ভাইকে বিডিআর হত্যা মামলা থেকে রক্ষা, চাদাবাজি, কমিটি বাণিজ্যকরে কক্সবাজার পৌরসভায় একাধিক জমি ক্রয়, নিজের ছোট ভাই দালালিকরে কোটি কোটি টাকা আয় সহ একাধিক ব্যাংক ব্যালেন্স তারই একমাত্র নমুনা হিসাবে প্রমাণ মিলে যায়।
বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত এমন একজন নেতার কাছে সদ্য আওয়ামীলীগের ৮ম সহযোগী সংগঠন হিসাবে ঘোষিত হওয়া সংগঠনটি কতটুকু নিরাপদ এমন দাবি সচেতন মহল সহ আওয়ামী পরিবারের সকল নেতা কর্মী সহ কক্সবাজার মৎস্যজীবীলীগের ওয়ার্ডে থেকে শুরু করে জেলা প্রর্যায়ের একাধিক নেতার।
তাদের আবেদন কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবীলীগের সভাপতি/ সম্পাদক এমন কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহ কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ যদি অচিরেই আজিজুল হকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা না নেন তাহলে আগামীতে আওয়ামীলীগের ত্যাগীরা জামাত-বিএনপি শ্বাসিত আওয়ামী মৎস্যজীবীলীগের কাছে খুন,গুম সহ নানা হয়রানির স্বীকার হতে হবে নিজ দলীয় ত্যাগীদের।
এবং অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।