নিজের ও পরিবারের আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের (ফ্রিজ) যে আদেশ আদালত দিয়েছেন, তার জন্য বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসকে ‘দুষছেন’ সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন। তার দাবি— তাপসের প্ররোচনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমন কাজ করেছে।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন, তার মা ফাতেমা হানিফ, স্ত্রী ফারহানা আলম ও বোন শাহানা হানিফের আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের (ফ্রিজ) আদেশ দেন আদালত।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আমার এবং আমার পরিবারের সাত কোটি ৬২ লাখ ১৪ হাজার ৬০৩ টাকা রক্ষিত রয়েছে।
সাংবাদিকদের সাঈদ খোকন বলেন, আপনাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই— দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আমার এবং আমার পরিবারের কোনো সদস্যকে কোনোরূপ নোটিশ প্রদান না করে, কোনোরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি আদালতের মাধ্যমে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ‘আমি মনে করি এর মাধ্যমে আমার এবং আমার পরিবারের মৌলিক ও সাংবিধানিক ক্ষুণ্ন হয়েছে।‘
সাবেক এ মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সেটির মেয়র তাপস নগর পরিচালনায় তার সীমাহীন ব্যর্থতা ঢাকতে প্রায়ই আমার প্রতি বিভিন্ন হয়রানি ও বিদ্বেষমূলক আচরণ করে আসছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের এহেন কর্মকাণ্ড তাপসের প্ররোচনায় সংগঠিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
সাঈদ খোকন আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ থাকলে, আমাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাওনা বকেয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
‘আমার সংসার পরিচালনা করা দূরুহ হয়ে পড়বে। বিভিন্ন ইউটিলিটি বিল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু আমার জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।’
দুদককে অনুরোধ করে তিনি বলেন, আপনারা আদালতের মাধ্যমে আমার জব্দ করা অ্যাকাউন্ট সচল করে দিয়ে আমাকে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা পরিচালনার সুযোগ করে দেবেন। এটা আমার ও আমার পরিবার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার।
তিনি বলেন, তদন্ত করতে আমার ও আমার পরিবারের কোনো আপত্তি নেই। দুদক তদন্ত করতেই পারে। কিন্তু কারও প্ররোচনায় বা দলাদলিতে দুদক জড়াবে, একজন নাগরিক হিসেবে আমি প্রত্যাশা করি না। আমি কমিশনের নিরপেক্ষ ভূমিকা দেখতে চাই।