ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল মজিদ ও ইন্সপেক্টর তদন্ত চাঁদ মিয়ার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে ছোট্ট শিশু হামিদুল (৭) ফিরে পেলে তার পরিবার ও হাতে পেল নতুন জামা কাপড়। ২৯ জুলাই শনিবার দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেও যখন ছেলেটির ঠিকানা পাচ্ছিলাম না, ঠিক বিকেল বেলায় ছেলেটির কান্নাকাটি আরো বেড়ে গেলো,,কিছুতেই ছেলেটির কান্না থামানো যাচ্ছে না। একপর্যায়ে ছেলেটাকে নিয়ে থানার বাহিরে আসলাম।সে শুধু বলে এই দিকে, এই দিকে।। কি মুশকিল, এই দিকে কি?? শেষে একটা অটোরিকশা নিয়ে ছুটলাম।যেতে যেতে ৩/৪ কিলোমিটার রাস্তা গেলাম, তারপরেও বলে এই দিকে,এই দিকে।। পরে রাগ করে পুনরায় থানায় চলে আসলাম। এখন ছেলেটির কান্নার মাত্রা আরো বেড়ে গেলো এবং বলতেই থাকলো এই দিকে,এই দিকে। ছেলেটাকে আর থানার ভিতরে নিতে পারলাম না। পরবর্তীতে এই দিকে,এই দিকে কথাটির শেষ কোথায় তা জানার জন্য আগ্রহ বেড়ে গেল। তারপর থানার একজন নারী কং নাজিয়াকে দিয়ে ছেলেটিসহ এএসআই জিয়াউর রহমানের মোটরসাইকেলে উঠিয়ে বলে দিলাম,,ছেলেটি যে পর্যন্ত এই দিকে,এই দিকে বলবে সেই পর্যন্তই যাবে। ঠিক যেই কথা,সেই কাজ,,ছলেটি এই দিকে, এই দিকে বলতে বলতেই রামভদ্রপুর গ্রামে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। এখানে একটা অবাক করা কান্ড হলো,ছেলেটি তার ঠিকানা বলতে পারেনি ঠিকই,কিন্তু তার বাড়ি ঠিক চিনতে পেরেছে।। যাই হোক,মাননীয় পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ মহোদয় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মহোদয়ের দিক নির্দেশনাসহ সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ এবং আমার নিজস্ব তত্বাবধানে হারিয়ে যাওয়া ছেলেটি আজ তার মা’কে ফেরত পেল।ছেলেটির মা কান্না জড়িত কন্ঠে শুধু এটুকুই বলতে পেরেছে “” আল্লাহ আপনাদের বাঁচিয়ে রাখুক,,পুলিশের মমতাবোধ কখনো ভুলতে পারবো না।ছেলেটির মায়ের মুখে ও ছেলেটির কান্না জড়িত মুখে হাসি ফোটানোটাই আমাদের স্বার্থকতা। মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ তার নিজ অর্থায়নে হামিদুল কে কিনে দিলেন নতুন জামা কাপড়।