এসকে এম হুমায়ুন স্টাফ রিপোর্টার।।
মঠবাড়িয়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের ধানীসাফা-মিরুখালী সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ২ স্থানের রাস্তা ভেঙ্গে খালে পরিণত হওয়ায় ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ওয়াহেদাবাদ, মিরুখালী, ছোটহারজী ও চালিতাবুনিয়ার গ্রামের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও পথচারীসহ প্রায় ১০ হাজার এলাকাবাসীর যাতায়াতের এই রাস্তাটি গত ১৫ দিন ধরে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে। তাছাড়া এ সড়কটি দিয়ে আমুয়া, ভান্ডারিয়া, পিরোজপুরসহ দুরপাল্লার ছোট-বড় যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপ ও গত কয়েক দিনের অব্যাহত ভারী বৃষ্টির প্রভাবে পানির চাপে রাস্তাটির বাদুরা বাজার থেকে মিরুখালী বাজার পর্যন্ত অংশে রাস্তার নিঁচ দিয়ে ৫/৭ টি স্থানে চালার (অভ্যান্তরীন নালা) সৃষ্টি হয়েছে। এ চালাগুলোও যে কোন সময় ভেঙ্গে খালে পরিনত হবার আশংকা রয়েছে। ইতোমধ্যে ২ স্থানের রাস্তা ভেঙ্গে খালে পরিণত হয়েছে। এ রাস্তার সংলগ্ন ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে। ভাঙ্গা স্থানে সুপারি গাছ ও লোহার ভীম দিয়ে মানুষজন কোন রকম পারপার হচ্ছে। তবে এতিনিয়ত ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটে চলছে।
অটোরিক্সা ড্রাইভার কালাম হোসেন জানান, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় ১৫ দিনের বেশী সময় দিন অটো বন্ধ থাকায় আয় নেই। আমার মতো এ রুটের অনেক ড্রাইভার পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তিনি দ্রুত রাস্তা মেরামতের দাবী জানান।
স্থানীয় অভিভাবক খাদিজা বেগম জানান, দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না।
মিরুখালী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রোকনুজ্জামান শরীফ জানান, করোনায় দীর্ঘ ছুটির পর বিদ্যালয় খুললেও রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা। তিনি সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে সওজ এর পিরোজপুর অফিসের এসও মো. আলি আকবরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, রাস্তার ভাঙ্গা অংশের মেরামত শীগ্রই করা হবে।