————————————————————-
আফজল খান শিমুল( স্টাফ রিপোর্টার ):- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউপির শ্রীপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে খালেদ সাইফুল্লাহ নামে একজন প্রতারক ” আল- ইহসান সোসাইটি নাম ব্যবহার করে ” ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণকে বোকা বানিয়ে সরকারি নিবন্ধন ও লাইসেন্স ব্যতিরেকে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সুদমুক্ত ব্যবসার নামে অত্র উপজেলার বিভিন্ন বাজারে যার যে মত চাহিদা , সে মত টাকা ও পণ্য সামগ্রী দিয়ে বিনিয়োগ করছে৷তার প্রতারণার কৌশল এমনই যে, কোথাও স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে না৷ কখনও সে আখাউড়ার দরুইন গ্রামে আবার কখনও শ্রীপুর , চম্পকনগরে অফিসের ঠিকানা দিয়ে সে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিচ্ছে৷ মাওলানা পরিচয় ধারী এ ভন্ড- প্রতারক, প্রশাসনের অগোচরে, অত্যন্ত সু-কৌশলে এ গোপন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে৷ সে এ কাজে নাম না দেয়ার শর্তে কয়েকজন কর্মচারী নিয়োগ করেছে৷ তারা প্রতিদিন দোকানে-দোকানে গিয়ে প্রত্যেক দিনের কিস্তি উঠাচ্ছে৷ ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ জানে না, সরকারি নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া সমবায় সমিতির ব্যবসা করা সম্পূর্ণ অবৈধ৷
অপর একটি অভিযোগ উঠেছে, সে নিজেস্ব বীমা ব্যবসার নামে গ্রামের সহজ-সরল মানুষ হতে লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে৷ তার পরিবার এ অবৈধ ব্যবসা থেকে একাধিক বার ফেরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে৷ তার এ অবৈধ ব্যবসার পরিধি প্বার্শবর্তী আখাউড়া সহ বিভিন্ন উপজেলায় বিস্তৃত রয়েছে৷তার চাতুর্য পূর্ণ কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে ভয় পায়৷ সাংবাদিকরা এ ব্যপারে নিউজ করলে বলে তারা ভূয়া সাংবাদিক৷ তারা আমার কিছুই করতে পারবে না৷
জানতে চাইলে শ্রীপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মো: রাছেল মিয়া বলেন, আমি জানতাম না তাদের লাইসেন্স নাই, জানলে দোকানের লাইগ্যা ঋণ নিতাম না৷ আমারে ৫ মাস মেয়াদে ঋণ দিয়া দিনে ৪০০ টেহা কইরা নিতাছে৷ লগে ৫০ টেহা সঞ্চয় নিতাছে, ভর্তি ফি নিতাছে ৩০০ টেহা৷হিসাব কইরা দেখছি, হে সুদ- মুক্ত কইয়া ৫ মাসে প্রায় ২০ হাজার টেহা লাভ নিতাছে৷ ঘটনা যদি হাছা হয় তাইলে আমি এ বাটপাড়ের শাস্তি চাইতাছি৷
এ বাজারেরই অপর ব্যবসায়ী হুমায়ুন মিয়া বলেন, ৫০ হাজার টেহা নিছি, দিনেরটা দিন কিস্তি লইয়া যাগা৷ লাইসেন্স না থাকার কারণের আমি হের বিচার দাবি করছি ৷
অপর দিকে অভিযুক্ত খালেদ সাইফুল্লাহর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ রকম কোন সমবায় সমিতির সাথে তিনি সম্পৃক্ত নন, তবে শেষ পর্যন্ত স্বীকার করতে বাধ্য হন, তিনি লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছেন , তার সমিতির এখন কোন লাইসেন্স বা নিবন্ধন নেই, অফিস তো দূরের কথা৷ তবে এটি করে সাধারণ মানুষ লাভবান্ হচ্ছে৷