ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনার শুরুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে থাকলেও বিজেপির তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
আজ রবিবার পশ্চিমবঙ্গের পাশপাশি ভারতের আরও তিনটি রাজ্য আসাম, তালিম নাডু ও কেরালা এবং কেন্দ্রশাসিত পদুচেরির বিধানসভা নির্বাচনেরও ভোট গণনা হচ্ছে।
ভারতজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রবল সংক্রমণের মধ্যেই গণনাকেন্দ্রগুলোতে কঠোরভাবে সতর্কতাবিধি পালনের মাধ্যমে ভোট গণনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম। গণনা কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
প্রাথমিক ভোট গণনায় আসামে বিজেপি এগিয়ে আছে, তামিল নাডুতে ডিএমকে এবং কেরালায় এলডিএফ ও ইউডিএফের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হচ্ছে। ১০ বছর আগে বাম রাজত্বের অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের শাসন কায়েম করেছিলেন মমতা। ২০১৬-তেও সেই ধারায় ছেদ পড়েনি। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই রাজ্যে বিজেপির শক্তিশালী অবস্থান ধরা পড়ে। আগামী পাঁচ বছর পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে ভোট হয়েছে ২৯২টি আসনে। সাত কোটি ৩২ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন প্রায় ৮১ শতাংশ। ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট বলছে, বেলা সোয়া ১২টা পর্যন্ত গণনায় এ রাজ্যে ১৯৬টি আসনে তৃণমূল আর ৭৯টিতে বিজেপি এগিয়ে ছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে গেলে এ রাজ্যে পেতে হবে ১৪৮টি আসন। নির্বাচনের পর বেশিরভাগ বুথ ফেরত সমীক্ষায় তৃণমূলই এগিয়ে ছিল।
আনন্দবাজার পত্রিকা যে পূর্বাভাস দিচ্ছে, তাতে তৃণমূল ১৯৯টি আর বিজেপি ৮৯টি আসন পেতে পারে। আর এনডিটিভির পূর্বাভাসে তৃণমূলের ১৮৮টি আসনে, বিজেপির ১০২টি আসনে জয় পাওয়র পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের সবার মনোযোগ নন্দীগ্রামের দিকে। কারণ এখান থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যের সবচেয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামের রায় কোন দিকে যায় সবার নজর সেদিকে।
এখানে ভোট গণনায় বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে রয়েছেন, পিছিয়ে পড়েছেন মমতা।