ডালিয়া আল মীম বিশেধ প্রতিনিধিঃ বিভিন্ন প্রাকিতিক এবং মানব সৃষ্ট প্রতিকূলতা পেরিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখবেন বলে প্রত্যাশায় ছিলেন টাঙ্গাইলের করটিয়া হাটে শাড়ি-কাপড় বিক্রেতার । করোনা এবং বন্যা পরিস্থিতির ধাক্কা কিছুটা সামলে নিয়ে আবারো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজাকে কেন্দ্র করে তাঁতিদের মধ্যে এক নতুন উত্তেজনার আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে শাড়ি তৈরির জন্য যে সকল কাঁচামাল এবং উপকরণ প্রয়োজন হয় সেসবের মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে , অন্যদিকে সে তুলনায় শাড়ি কাপড়ের কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাচ্ছেন না তাঁতিরা।
সামান্য সুদে ঋণ সহায়তাসহ সরকারি পৃষ্টপোষকতার প্রয়োজন বলে মনে করছেন হাট কর্তৃপক্ষ।
বেশ কিছু মাস ধরে করোনা পরিস্থিতি এবং সম্প্রতি বন্যার কারণে দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে টাঙ্গাইলের শাড়ি উৎপাদনকারী তাঁতিদের এবং টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ি বিক্রেতাদের।
সম্প্রতি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজাকে কেন্দ্র করে বেচাকেনায় কিছুটা লাভ হবে বলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারবেন বলে আশা ছিলেন তাঁতিরা । তবে টাঙ্গাইলের করটিয়া হাটে তেমন কোনো ভিড় চোখে পড়ছে না বলে দাবি করেন হাটের বিক্রেতারা এবং আশেপাশের জনগণ।
তারা বলছেন , বেচাকেনা চলছে স্বাভাবিকের মতোই । শাড়ি তৈরির উপকরণ এবং কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি হলেও সে অনুযায়ী দাম বাড়ানো যাচ্ছেনা শাড়ির । এতে করে তাঁতিদের মনে আরও সংখ্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা দুশ্চিন্তার সম্মুখীন হচ্ছেন এছাড়াও দেশের দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীদের যে ঢল অতীতে লক্ষ্য করা যেত , সেটি এবার তেমন নেই বললেই চলে ।অনেকেই ইতিমধ্যে পুঁজি হারিয়ে তাঁত বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। বেকার হয়ে পড়ছে হাজার হাজার তাঁত মালিক ও শ্রমিক। এবং অপব্যবহার হচ্ছে তাঁত শিল্পের, মূল উপকরণ , তাঁতের শাড়ি এবং সুষ্ঠু বন্টনের। যারা তাঁত শিল্পের উপর কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো , তারা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তাসহ বিদেশে শাড়ি বিক্রির সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি এবং শাড়ি তৈরির উপকরণের দাম কমাতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয় সম্পর্কে করটিয়া শাড়ি কাপড়ের হাট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন , শাড়ি তাঁতি ও ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না কোনোভাবেই । জরুরি ভিত্তিতে ঋণ সহায়তাসহ সরকারি পৃষ্টপোষকতা না দেওয়া হলে অচিরেই এই শিল্প বিলিপ্ত হয়ে যাবে।
এই বিপর্যয়ের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের করটিয়া শাড়ি কাপড়ের হাটে প্রতি সপ্তাহে হাটে সপ্তাহে স্বাভাবিক সময়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার শাড়ি বিক্রি হতো। তবে গত দুই বছর ধরে বর্তমানে ১ কোটিরও নিচে নেমেছে । প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে শাড়ি , তবুও চোখে পড়ছে না ক্রেতাদের আনাগোনা । এই বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণের জন্য হাট কর্তৃপক্ষ , সরকারের কাছে বিশেষ সাহায্য প্রার্থনা করছে।