নিউজ ডেস্ক ; নয়ন সিকদার
টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার হাবলা দক্ষিণ পাড়া পাওনা ১২০০ টাকার জের ধরে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মোঃ রিমন আহাম্মেদ বাদী হয়ে বাসাইল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন
জানা যায়, ঘটনার সাথে জড়িত ১১ জনের নামে অভিযোগ উঠেছে। তারা হলেন; ১। মনির হোসেন (৩৬), ২। রাকিব হোসেন টিটন (৩০), ৩। ইমরোজ (৩৩) সর্ব পিতা মৃত সাদেক আলী ফরাজী, ৪। সাজ্জাত (২২), পিতা মৃতঃ গনি মিয়া, ৫।রবিন (২৫) পিতাঃ আজিম ওরফে পচু, ৬। রাব্বি(২৩), পিতাঃ ল্যাংড়া আবুল ৭। সোহাগ (২০) পিতাঃ সোলেমান মিয়া ৮। নোহান (২০) পিতাঃ ইমরান জোসেন জুয়েল ৯। ইয়াসিন (২৩) পিতাঃ আলীম ১০। মনজু (২৭) পিতাঃ আল মনসুর সর্ব সাং হাবলা দক্ষিণপাড়া ১১। ইয়ামিন (২৩) পিতাঃ ইলিয়াস হাবলা পূর্বপাড়া সর্ব থানা বাসাইল, জেলা টাঙ্গাইল। ঘটনায় গুরুতরভাবে জখম সানি (১৮) এর ভগ্নিপতি ও পরিবার থানায় বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।
পারিবারিক তথ্যমতে জানা যায়, শনিবার (২ অক্টোবর ২১ খ্রিঃ ৮:৩০ মিনিটের দিকে সানি (১৮) ও তার বন্ধু আবদুল্লাহ (১৭), সাইদী (১৬), রিদুয়ান (১৬) হাবলা দক্ষিণপাড়া হাজী বাড়ি ও খলিফা বাড়ি জামে মসজিদের পাশে বসে ফোন দেখতেছিল। এমন সময় ৭ নং বিবাদী সোহাগ তার ব্যবহৃত মোবাইলে হতে সানিকে ফোন করে বলে সাইদী ১২০০ টাকা পাবে। উক্ত পাওনা টাকা আনতে হাবলা টেগুরিয়া পাড়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার দক্ষিণ পাশে লুৎফরের পতিত বাড়ির সামনে হতে আনার জন্য বলা হয়।
সানি তার সাথে থাকা বন্ধুদের সেখানে নিয়ে পৌছানোর পর পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক উপরোক্ত বিবাদী ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জন দল গত ভাবে রাত ৯:৩০ মিনিটের দিকে চাপাতি, রামদা, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, লোহার হাতুরী ও মারাত্মক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রত্যক্ষ উপস্থিতিতে ১ নং বিবাদী মনির হোসেনের নির্দেশে আক্রমন করে। মনির হোসেন দারালো চাপাতি দিয়ে সানিকে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথা লক্ষ্য করে কুপ দেয়। সানি বাম হাতে ফেরালে বাম হাতের কনুইয়ে কুপ লেগে জখম হয়।রাকিব ও রাব্বি দা দিয়ে হাটুতে কুপ দেয়। রবিন ও ইমরোজ লোহার রড দিয়ে আঘাত করে বাম হাত হাড়ভাঙ্গা জখম করে। সানির বন্ধু আবদুল্লাহ এসব ফেরাতে গেলে ইয়ামিন, ইয়াছিন ও সোহাগ চাপাতি দিয়ে আঘাতে জখম করে।
সাইদী ও রিদুয়ান ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে এসে সকলকে খবর দেয়। ওদিকে সানি ও আবদুল্লাহ এর ডাক চিৎকারে আশেপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে খুন জখমের হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন সানি ও আবদুল্লাহ কে গুরুতর অবস্থায় তৎক্ষানৎ টাঙ্গাইল সদর হসপিটালে নিয়ে যায়। আবদুল্লাহকে সদর হসপিটালে চিকিৎসাধীন রাখা হয় তবে সানির অবস্থা মারাত্মক দেখে ডাক্তার সাথে সাথে ঢাকা পঙ্গু হসপিটালে রেফার্ড করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিবাদী গণের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক অভিযোগ সহ থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এই বিষয়ে এলাকাবাসী সহ সকলেই উপরোক্ত ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ সহ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।