মোঃ আরিফুল ইসলাম খান শাহীন
বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, দল মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক অঙ্গনের সকল নেতাকর্মী ও দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাঙালীকে দিনমুজুর ,,শ্রমিকসহ সকল পেশাজীবি মানুষকে পবিত্র ঈদুর আজহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন কমফর্ট গ্রপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজ সেবক, শিক্ষানুরাগী, যুবসমাজের আইডল ও আইকন মুহাম্মদ আবু তালহা ,সদস্য, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক বিষয়ক কমিটি ,,বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৷ সোমবার দুপুরে এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেয়া করোনাভাইরাসের মাঝে আমাদের কাছে এসে উপস্থিত মহা খুশীর দিন। প্রাণঘাতী করোনা সরে নতুন প্রাণের সঞ্চার হোক দিগন্তজুড়ে। সারা বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ, দল মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক অঙ্গনের সকল নেতাকর্মী ও দেশ-বিদেশে অবস্থানরত সকল প্রবাসী বাঙালীকে পবিত্র ঈদুর আজহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। মুহাম্মদ আবু তালহা বলেন, ‘মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও সৎ উপার্জন থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি সকলেই সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেওয়া ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণসহ পশু ক্রয় থেকে শুরু করে প্রতিটি কার্যক্রম করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে করতে সচেষ্ট থাকবেন বলে আমি আশা রাখি। পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ-মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করি।’
তিনি বলেন, ‘এ ২ বছর এমন একটা সময়ে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন মহামারি করোনার ছোবলে বিশ্ববাসী বিপর্যস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে অনেক মানুষই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মানুষের কল্যাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সকলকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’
তিনি গণমাধ্যমের নিকট আরো বলেন, ‘করোনা মোকাবেলায় সকলকে সচেতন হতে হবে এবং জীবনযাপনে ও চলাফেরায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজে সুস্থ থাকি, অন্যকেও সুস্থ রাখি-এটাই হোক এবারের ঈদুল আজহার সকলের অঙ্গীকার।’
তিনি এ প্রতিনিধিকে আরো বলেন , ‘মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।’
তিনি বলেন, ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌন্দর্য।সৌন্দর্য।পরিশেষে দেশবাসীর নিকট দোয়া কামনা করেন ৷