ডালিয়া আল মীম পরিবেশ” শব্দটির পরিধি এত ব্যাপক যে , এর বিষয়বস্তু ও অর্থগতভাবে একটি সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা দেওয়া জটিল। জীবন যাত্রার আধুনিক উপকরণের ব্যবহার, বৃক্ষ নিধন , ভারসাম্য রক্ষাকারী উপাদানসমূহ নষ্ট করার ফলে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী এ চিত্রের ভয়াবহতা লক্ষণীয় । সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করণে একটি দেশের মোট এলাকার কমপক্ষে 25% বন বা গাছপালায় আচ্ছাদিত থাকতে হয়।
কিন্তু নির্বিচারে পরিবেশগত ভারসাম্য হুমকির মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানব বৃক্কের উপর নির্ভরশীল । বনভূমি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালন করে থাকে।
” দাও ফিরে এসে অরণ্য , লও এ নগর “_
একথা বলতে আমি বুঝি , অরণ্য জীবনের মতোই প্রয়োজনীয় । আর এ প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে দেশে বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে বনজ সম্পদ বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
কম বেশি আমাদের সবারই উচিৎ এ বিষয়ে নজর দেওয়া তা না হলে আমরা খুব দ্রুতই অনেক বড় এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবো । এখন প্রশ্ন আসতে পারে ” আমরা সবাই প্রতিমুহূর্তে কোনো না কোনো কাজে ব্যাস্ত থাকি ” তাহলে গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করার সময় কোথায় ” ?
তবে আমরা চাইলেই নিজেদের চেষ্টায় , এই বিপর্যয় থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি ।
সময় সুযোগ করে বাড়ির আঙিনায় বা ছাদে গাছ লাগানো টা অনেক জরুরী , এতে করে বাড়ির পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে কিছুটা হলেও ভূমিকা পালন করে। তাছাড়া মানি প্লেন্ট এবং অর্কিড জাতীয় গাছ আমরা ঘরের ভেতরে , বারান্দা এবং ছাদ সহ বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় লাগাতে পারি ।এই ধরনের গাছ গুলোর ক্ষেত্রে পরিচর্যার খুব বেশি প্রয়োজন হয় না , খুব দ্রুত বাড়ে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে ।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ নৈরাশ্যজনক ভাবে কম হওয়ায় দেশ অগণিত সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য দেশের সকল নাগরিককে সচেতন হতে হবে যাতে বৃক্ষ নিধন বন্ধ করে বনভূমি বৃদ্ধিতে সবাই তৎপর হয়। মানুষ তথা সামগ্রিক পরিবেশের অস্তিত্ব রক্ষার্থে বৃক্ষরোপণ অভিযান একটি বিরাট পদক্ষেপ। কারণ পরিচ্ছন্ন , নির্মল ও বাস উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অরণ্যের ভূমিকা অপরিসীম। তাই আসুন, বৃক্ষরোপন অভিযানের মাধ্যমে আমরা লাগাই গাছ , তারাই দুঃখ , বাঁচাই পরিবেশ এবং দেশকে করি সমৃদ্ধ।