1. admin@kholanewsbd24.com : admin :
ত্রাণ নয় চায় টেকসই বেড়িবাঁধ - খোলা নিউজ বিডি ২৪
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:২০ অপরাহ্ন
শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:২০ অপরাহ্ন

ত্রাণ নয় চায় টেকসই বেড়িবাঁধ

প্রশাসন
  • সময় : বুধবার, ২ জুন, ২০২১
  • ১০১ বার পঠিত

ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেড়িবাধেঁর বাহিরে অতিরিক্ত পানির চাপে ঘর ভিটা হারানো সহ ৩২৬টি পুকুর দিঘী মাছের খামারে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষি খাতেও ৩৭৫ হেক্টর জমির ফসল হুমকির মুখে রয়েছে । মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তার হিসেবে ৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে মৎস্য চাষীরা।
আম্ফানের ফলে যে পরিমান কইতর মুখে পড়েছি তা কাটিয়ে উঠার আগেই ১ বছরের মাথায় ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাত। বারবার আঘাতের ফলে কৃষি ও মৎস্য খাতে হুমকির মুখে পড়েছি। সরকারী কোন ত্রান নয় চাই টেকসই বেড়িঁবাধ। দুর্যোগ পরবর্তী ত্রাণ ও পুর্ণবাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২০ মেট্রিকটন চাল ও শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর আইচা এলাকার আ. করিম জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই হঠাৎ পানি বেড়ে গিয়ে ফসলি জমি পুকুর ও বাড়ির ভিটে পযর্ন্ত গড়ায় । বাতাস ও পানির চাপে ভিটের মাটি ঘরের মধ্য থেকেও নিয়ে যায়। বারবার আমরা দুর্যোগে পড়লেও কেউ কোন সহায়তা তো দুরের কথা এসেও দেখেনি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা চরমানিকা ইউনিয়নের সিপিসি এনায়েত হোসেন মিয়ার কাছে আগাম বার্তা না পাওয়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কারো চাকরি করি না বেড়িবাধেঁর বাহিরে আমাদের যাওয়ার প্রয়োজন নাই।
একই এলাকার মো. ফারুক মুন্সী জানান, প্রায় ৫ শত পরিবার বেড়িবাধেঁর বাহিরে থাকলে ও কোন বেড়িবধিঁ না থাকায় প্রতিবছর দুর্যোগ, অতিরিক্ত পানির চাপ, নোনা পানি উঠে আমরা বারবার ক্ষতির মুখে পড়ছি।
মো. রফিক পালোয়ান বলেন, বেড়িবাধেঁর বাহিরে কোন আশ্রয়কেন্দ্র বা উচু ভবন না থাকায় আমরা মারাতœক ঝুকিঁতে রয়েছি এমনকি চর লক্ষী, চর ফারুকী, চর হাসিনা থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত হাসপাতালে গিয়ে আ¤্রয় নিলেও সব কিছুই ছিল তালাবদ্ধ।

চরকুকরী মুকরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজন ও ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, দুর্যোগের পুর্বাভাসে অতিঝুকিঁতে থাকা লোকজন নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। যার ফলে প্রাণ নাশের কোন ঘটনা না ঘটলেও সম্পদের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। তাৎক্ষনিক দেয়া হয়েছে শুকনো খাবার।

উপজেলা মৎস্য সিনিয়র কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে চরফ্যাশন উপজেলার বেড়িবাধেঁর বাহিরে ও বিভিন্ন ২টি ইউনিয়নে ৫৩ টন মাছ ১০ লাখ মাছের পোনা ও পুকুর, দিঘী ও মাছের ঘেরে অবকাঠামো গত ক্ষতি হয়েছে যার মোট পনিমান প্রায় ৬ কোটি ২১ লক্ষ টাকার মত। ক্ষয়ক্ষতির এ পরিমান মন্ত্রণালয়ে ও জেলা প্রশাসক ভোলা কে প্রেরণ করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, ইয়াসের প্রভাবে চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৩৭৫ হেক্টর জমির ফসলের সাময়িক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের পুর্ব থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নেয়া ছিল। তাৎক্ষনিক শুকনো খাবার বিতরন সহ ২০ মেট্রিকটন চাল দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও ঢালচর ও কুকরী মুকরীতে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংকট নিরসনে কয়েকটি পুকুরের পানি নিস্কাসন করে মিষ্টি পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা