এস আর টুটুল এম এল- তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি;
বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর আজ থেকে চালু হয়েছে স্কুল-কলেজে পাঠদান কার্যক্রম। দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও মাদরাসাসহ, কিন্ডারগার্টেন এবং অন্যান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও খুলেছে। তবে শুরুতেই শ্রেণীকক্ষে আসবে না সকল শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
এছাড়া পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নভেম্বরে মাধ্যমিক (এসএসসি) এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি (উচ্চ মাধ্যমিক) পরীক্ষা স্ব-শরীরে অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাসে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াই সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার উদ্বোধন করেন (কালীগঞ্জ হাট ডিগ্রী কলেজ) এর অধ্যক্ষ জনাব শফিউজ্জামান (খোকন)।
এছাড়াও তানোর উপজেলায় অবস্থিত স্কুল-কলেজগুলোতেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বেশ মুখফরিত ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক জানান, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শুরুতে এ বছর ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
নবম ও একাদশ শ্রেণির ক্লাস হবে সপ্তাহে দুই দিন।
অন্যান্য শ্রেণিতে সপ্তাহে এক দিন ক্লাস নেওয়া হবে। যদি পরিস্থিতি ভালো হয়, তাহলে স্কুল খোলার দুই-তিন সপ্তাহ পর থেকে সব শ্রেণিতে স্বাভাবিকভাবে ক্লাস নেওয়া হতে পারে।
একাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাত করে জানা যায়, অন্যান্য শ্রেণীর তুলনায় পঞ্চম শ্রেণিকে বেশি দিন স্কুলে আনা হবে। অন্যান্য শ্রেণিতে এক-দুই দিন ক্লাস হতে পারে। আর প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস অবস্থা বিবেচনা করে শুরু করা হবে।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কিছু শিক্ষক জানান, গত দেড় বছরে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণে যে ব্যাঘাত ঘটেছে, সর্বাধিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে আমরা তা স্বাভাবিক অবস্থানে আনার চেষ্টা করবো।
কালীগঞ্জ হাট ডিগ্রী কলেজের কিছু সংখ্যক এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা জানান, অনেকদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসে তারা খুবই আনন্দিত। অনেক উৎসাহের সাথে শিক্ষা গ্রহণ করে তারা শিক্ষার ঘাটতি পূরণ করতে চায়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে, আগামী দিনে আরো কমবে ইনশাল্লাহ। এ ছাড়া ধীরে-ধীরে করোনার টিকা পাওয়া নিশ্চিত হওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবং জনস্বাস্থ্যবিষয়ক বেশ কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া সাপেক্ষে, এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে মতামত দিয়েছে কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
তবে সংক্রমণ বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবারো বন্ধের পূর্ব সতর্কতা দিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি