1. admin@kholanewsbd24.com : admin :
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিৎ ? - খোলা নিউজ বিডি ২৪
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
সোমবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নওগাঁর পত্নীতলায় নকল ইঞ্জিন অয়েল কারখানায় অভিযান আটক ১ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার আলোচনা সভা ধনবাড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে বিদায়ী ওসিকে সংবর্ধনা ধনবাড়ীতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন গাজীপুর মহানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি রেজা-সাধারন সম্পাদক শহিদ সাভারে রোজ হেভেন রেস্টুরেন্ট মিলবে,চাইনিজ-ফাষ্ট ফুড সহ বিভিন্ন খাবার জামালপুরে হানাদার মুক্ত দিবস পালিত কোনাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালন পাঁচবিবিতে সাংবাদিকদের সাথে নতুন ওসির পরিচিতি ও মত বিনিময় সভা পাঁচবিবিতে এক মানব প্রেমিকের ব্যতিক্রমী কম্বল বিতরণ

ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা কেমন হওয়া উচিৎ ?

প্রশাসন
  • সময় : শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১
  • ১৮৪ বার পঠিত

ডালিয়া আল মীম বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘ স্থায়ী রোগ যা সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু ডায়াবেটিস একটি অসংক্রামক রোগ। এখন পর্যন্ত এই রোগটি অনিরাময়যোগ্য কিন্তু নিয়ন্ত্রণ যোগ্য। অর্থাৎ ডায়াবেটিস সনাক্ত হওয়ার পর থেকে নিয়ন্ত্রণ করে যেতে হবে। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস হৃদরোগ, কিডনি রোগ,অন্ধত্ব এবং অন্যান্য জটিলতর সমস্যার সৃষ্টি করে থাকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রন করতে হবে। আর রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হলে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো দ্রুত রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, সেগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। আজ আমরা সেই সকল খাদ্যগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

 

ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তির জন্য শর্করা জাতীয় খাবারের প্রভাব:

শর্করা,আমিষ ও চর্বি হলো এক ধরনের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা আমাদের দেহে শক্তি সরবরাহ করে। আবার শর্করার তিনটি উপাদান রয়েছে স্টার্চ,চিনি ও ফাইবার। কিন্তু ফাইবার হজম হয় না কিন্তু অপর দুটি উপাদান হজম হয় এবং শরীর শোষণ করে নেয়। যদি ১০ গ্রাম শাকসবজিতে ৬ ভাগ শর্করা ও ৪ ভাগ ফাইবার থাকে তাহলে মোট শর্করার পরিমাণ ৬ গ্রাম বিবেচনা করা হয়ে থাকে। একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তি যখন অতিরিক্ত মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার গুলো খাবে তাহলে তার রক্তে শর্করার পরিমাণ বিপদজনকভাবে উচ্চমাত্রায় বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তাহলে, এই কথা স্পষ্ট যে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হলে শর্করা জাতীয় খাবারগুলো কমকরে খেতে হবে। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক কিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

তরল বা মিষ্টি পানীয়

মিষ্টি স্বাদযুক্ত পানীয়গুলোতে ফ্রুক্টোজের পরিমান খুব বেশি থাকে। এই উচ্চমাত্রার ফ্রুক্টোজ যুক্ত পানীয় ডায়াবেটিসের পাশাপাশি ফ্যাটিলিভার ডিজিজের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এই মিষ্টি পানীয় গ্রহন করলে, পেটের চর্বি বা মেদ, ক্ষতিকর রক্ত চর্বি টাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যায় ফলে বিভিন্ন হৃদরোগের ঝুঁকি এবং হাইপারটেনশনে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

এক কথায়, মিষ্টি পানীয় গ্রহন করলে একজন ডায়াবেটিস রোগীর ইনসুলিন প্রতিরোধ ও রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে। রক্তে গ্লুকোজ বা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে হলে একজন ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই এধরণের পানীয় বর্জন করতে হবে।

এধরনের পানীয়গুলোর মধ্যে রয়েছে চিনির শরবত, আখের রস, কোমল পানীয় ইত্যাদি।

কৃতিম ট্রান্স ফ্যাট

কৃত্রিম ট্রান্স ফ্যাটগুলি চরম অস্বস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে একটি। এখাবারগুলিকে স্থিতিশীল করার জন্য হাইড্রোজেন যুক্ত করে বানানো হয়। যদিও এই খাবারগুলো সরাসরি রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায় না কিন্তু এগুলো ইনসুলিন প্রতিরোধ করে এবং পেটের মেদ-চর্বি বাড়িয়ে দেয়। বেশির ভাগ দেশে এ খাবারগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
একথা স্পষ্ট যে কৃত্রিম ট্রান্স ফ্যাট যুক্ত খাবারগুলি ইনসুলিন প্রতিরোধ করে ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় যা ডায়াবেটিস রোগীর জন্য অত্যন্ত বিপদজনক।

তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীকে অবশ্যই এই ধরনের খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে।

সাদা রুটি বা ভাত
আমাদের দেশে প্রচলিত একটা নিয়ম রয়েছে ডায়াবেটিস হলে দুইবেলা রুটি আর একবেলা ভাত খেতে হবে। মেনে নিলাম কিন্তু আমরা যে সাদা রুটি আর সাদা ভাত খাই তাতে কতটুকু শর্করা আছে তা কি আমরা জানি। এই প্রক্রিয়াজাত ভাত বা আটাতে খুব অল্পপরিমাণে ফাইবার থাকে এবং খুব বেশি শর্করা থাকে যা একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। একথা স্পষ্ট যে, একজন ডায়াবেটিস রোগীকে তার রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে সাদা রুটি বা ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত এবং লাল আটার রুটি খেতে হবে।

চিনি বা মিষ্টি ফল দিয়ে বানানো দই
সাধারণ বা টক দই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু চিনি বা মিষ্টি ফলের রস দিয়ে বানানো দই একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ঝুঁকি হতে পারে। কেননা এই দইয়ে সাধারণত ফ্যাট কম থাকলেও চিনির পরিমাণ বেশি থাকে ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীকে এই ধরনের দই বর্জন করতে হবে।
পরিবর্তে টক দই খাওয়ার যেতে পারে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।

চা বা কফি
কফি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী এবং ডায়াবেটিস কমাতে সাহায্য করে কিন্তু মিষ্টি কফি বা চিনি দিয়ে বানানো কফি ডায়াবেটিস বাড়িয়ে তুলে। এই ধরনের কফি রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীকে এই ধরনের কফি বর্জন করতে হবে পরিবর্তে চিনিমুক্ত কফি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।

মধু ও আঁখের রস
মধু ও আঁখের রস প্রাকৃতিক উপাদান হলেও ডায়াবেটিস রোগীকে এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। সাদা চিনির মতো প্রক্রিয়াজাত না হলেও এগুলোতে প্রচুর পরিমানে কার্বস রয়েছে যা রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য ঠিক রাখতে ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্য তালিকায় এ ধরনের খাবার তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

শুকনো ফল
ফল ভিটামিন সি ও পটাসিয়ামসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ লবণের একটি উৎস। দুর্ভাগ্যক্রমে শুকনো ফলে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়। যেমন একটি শুকনো কিসমিসে আঙুরের চেয়ে চারগুন গ্লুকোজ থাকে।
তাই একজন ডায়াবেটিস রোগীকে শুকনো ফলের পরিবর্তে তাজা ফল স্বল্পপরিমানে দেয়া যেতে পারে।

বাজারজাত করা স্ন্যাকস
প্যাকেট করা স্ন্যাকস বা হালকা খাবারগুলো সাধারণত উচ্চ পরিশোধিত ময়দা থেকে তৈরি যেগুলোতে ফাইবার খুব কম থাকে এবং শর্করা বেশি থাকে। এই প্রক্রিয়াজাত খাবারগুলি রক্তে গ্লুকোজ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

ফলের রস
ফলের রসে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও খনিজ লবন রয়েছে, কিন্তু এগুলোর পাশাপাশি উচ্চ মাত্রায় ফ্রুক্টোজও রয়েছে। এই ফ্রুক্টোজ ইনসুলিন প্রতিরোধে সাহায্য করে ফলে রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যায় অর্থাৎ ডায়াবেটিস বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘ স্থায়ী রোগ। এই রোগটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় রাখতে হলে শর্করা জাতীয় খাবার গুলো পরিমিত মাত্রায় খেতে হবে।

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা