বি এ রায়হান, গাজীপুরঃ
টঙ্গীতে স্বেচ্ছাসেবক দলে ত্যাগীদের নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবীতে ও বিতর্কিত লোকদের পদায়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
মিছিলটি চেরাগআলী মার্কেট থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজগেট এলাকায় এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বিভাগীয় কমিটির নেতাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বাবু, সহ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খলিফা, টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের শাহীন আহম্মেদ, আবুল হোসেন, আশরাফুল আলম, হাসান চৌধুরী, পশ্চিম থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ইকবাল হোসেন, আক্তার হোসেন লিটন প্রমূখ।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রাশেদুল ইসলাম বাবু বলেন, জীবন বৃত্তান্ত যাচাই না করে টাকা ও তদবির বানিজ্যের মাধ্যমে যদি পদ আসে, তবে রাজপথে মিছিল মিটিং এর দরকার কি? আমি ২০০৩ সাল থেকে ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক পদে ছিলাম, আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে একাধিক মামলার আসামী হয়েছি কিন্তু শুধুমাত্র আরিফ হাওলাদারের ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণে আমাকে টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
শাহীন আহম্মেদ বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আছি, আমি পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পদপ্রার্থী ছিলাম কিন্তু আমাকে এই কমিটিতে রাখা হয় নাই, আমার কি অপরাধ?
বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলেন, ত্যাগী ও দীর্ঘদিনের নেতাকর্মীরা যেখানে বাদ পড়ছে সেখানে আওয়ামী সম্পৃক্ততার অভিযুক্তরা গুরুত্বপূর্ণ পদ পায় কি করে?
টীম প্রধানের যোগসাজোস ব্যাতীত এইরকম স্বেচ্ছাচারিতা অসম্ভব। আমাদের একমাত্র দাবি অবিলম্বে আওয়ামী সংশ্লিষ্ট বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে কমিটি পুনর্গঠন করতে হবে, অন্যথায় খুব শিগ্রই আমরা আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।