সোহানুর রহমান (জামালপুর প্রতিনিধি)
প্রতিবছর জন্মদিনে সোশাল মিডিয়ায় ঝড় উঠে। যার প্রতি শুভেচ্ছা বার্তা আর আনন্দ উচ্ছ্বাসে মুখর হয় হাজারো টাইমলাইন।
বলছিলাম জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার কথা।
নাম জাহিদুল ইসলাম জেহাদ।
ব্রহ্মপুত্র নদের কূল ঘেঁসা মেরুরচর ইউনিয়নের
এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৭৬ সালে জন্ম হয় তার। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মাওলা ও মাতা জাহানারা বেগমের চার সন্তানের সবার বড় তিনি। সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় জেহাদের।
এরপর মাধ্যমিক স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে শেরপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন।
কলেজ জীবনে পা রেখেই জেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করেন।
তৎকালীন এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদস্য হিসাবে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রাখেন।
১৯৯৩ সালে তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন
এরপর ১৯৯৪ সালে নির্বাচিত হন শেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি।
আন্দোলনে সোচ্চার ভূমিকা রাখায় রাজপথে বারবার হামলার শিকার হন।
২০০৭ সালে তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ শেরপুর শহর শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তির জন্য গণ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামীলীগ নির্দেশিত সকল কার্যক্রমে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য হয়ে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে মেরুরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন।
চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিয়ে ভিটেমাটি হারা মানুষের আশ্রয়ে দুটো গুচ্ছগ্রাম নির্মান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক সহ সমাজের বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যাপক উন্নয়ন করেন। নেতৃত্বের দীর্ঘসময়ে গ্রাম্য শালিসিতে দালালী, মাদকতা, বাল্যবিবাহ সহ রাষ্ট্র বিরোধী সকল কাজের বিরুদ্ধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাহসী ও কার্যকরী ভূমিকা রাখেন জেহাদ।
যার ফলশ্রুতিতে পাঁচ বছরের নেতৃত্বে হাজারো মানুষের কাছে নির্ভরতার প্রিয় ঠিকানা হয়ে উঠেন জেহাদ।
আজ ১২ মে তার জন্মদিন। চারদিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন এই নেতা।