ডেস্ক রিপোর্ট
দেশের চার জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আরও ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা শহরের চার হাসপাতালে ২৪ জন, ময়মনসিংহ হাসপাতালে ২০ জন, কুষ্টিয়া হাসপাতালে ২০ জন ও রামেক হাসপাতালে ১৭ জন মারা যান। মারা যাওয়াদের মধ্যে করোনায় ৪১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৪০ জন মারা যান।
আজ সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, রামেক হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন, উপসর্গ নিয়ে ১১ জন এবং করোনা নেগেটিভ হয়েও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় একজন মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৭ জন মারা গেছেন এদের মধ্যে চারজনের বাড়ি রাজশাহী জেলায়। এ ছাড়া নাটোরের চারজন, পাবনার দুজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, নওগাঁর একজন, বগুড়ার একজন এবং ঝিনাইদহের একজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণ ও উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন তারা।
এদিকে কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে একদিনে আরো ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন করোনা পজিটিভ ও ৮ জনের করোনা উপসর্গ ছিল। শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত এদের মৃত্যু হয়।
এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৯৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৫ জনের নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২০.৭৪ শতাংশ। অপরদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৮৩ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ৬৭ জনসহ মোট ২৫০ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ওদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে সাতজন করোনায় এবং ১৩ জন উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তারা সবাই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। আজ সকালে হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. মহিউদ্দিন খান মুন এ তথ্য জানান।
এদিকে খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ১৫ জন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৭ জন এবং উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রোববার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার এসব তথ্য জানান।
আপনার মতামত দিন