জাহিদ হাসান জিহাদ :                                        আওয়ামীলীগ পরিবারে জন্ম, আর সেই রাজনীতি এবং আদর্শের আবহে বেড়ে ওঠা। ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে রোল মডেল আর তরুণ প্রজন্মের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছেন অবিরত। এতক্ষণ বলছিলাম যার কথা বলছিলাম তিনি হলেন গাজীপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হাফিজুর রহমান। জীবনের একটা বড় অংশ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে বিভিন্ন রকম লড়াই সংগ্রামে ব্যয় করেছেন। আওয়ামী পরিবারের রাজনৈতিক আবহ ও আদর্শ নিয়েই বড় হয়েছেন। এখন বেশ কয়েক বছর ধরে মানব সেবায় কাটাচ্ছেন বেশিরভাগ সময়। যুবলীগের একজন কর্মী হিসেবে দেশ গড়ার কাজে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন তিনি। তার সুযোগ্য পরামর্শে পরিচালিত হচ্ছে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের সক্রিয় নেতাকমীর্রা। মো: হাফিজুর রহমান মুজিব আদর্শে গাজীপুরে রাজনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক শিক্ষাকে কাজে লাগিয়েই বাংলাদেশের রাজনৈতিক মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন তিনি। নতুন প্রজন্মকে রাজনৈতিক সচেতন করে তুলতে তার বিভিন্ন কর্মসূচি যুবলীগে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে করে তুলেছে উজ্জীবিত। এছাড়া, সরকার বিরোধী যেকোনো আন্দোলনকে রুখে দিতে নিজের জীবন বাজি রেখে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা: যাত্রা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জসমূহ’ বিষয়ে মো: হাফিজুর রহমান বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে নিহত হবার পর বেঁচে থাকা বঙ্গবন্ধু কন্যা জন নেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার দিনগুলো ছিলো খুব কঠিন। ১৫ আগস্ট তারা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরের পরিস্থিতির স্মৃতিচারণ করে মো: হাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কৃতিত্বের কথা তরুণ প্রজন্মকে জানানোর দায়িত্বটা তারপরও রয়ে গেছে। সে দায়িত্বটা আমাদের। আমরা যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখি নাই, তাদেরও দায়িত্ব রয়েছে যারা ৭১—৭৫ দেখেছেন তাদের কাছ থেকে জেনে তরুণ প্রজন্মকে জানানো । বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় শুরু থেকেই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গাজীপুর—১ আসনের সাংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এম.পি, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ এমপি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলে সামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মাইনুল হোসেন খান নিখিল সাহেবের আহ্বানে গাজীপুরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলে এলাকার মানুষকে সচেতন করে বেড়িয়েছেন মো: হাফিজুর রহমান।
করোনা ঠেকাতে, প্রান্তিক মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে ত্রাণ বিতরণ, কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়ন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সম্মুখভাগের যোদ্ধা হয়ে যুবলীগের একজন আদর্শবান নেতা হিসেবে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে তার নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার কর্মহীন, অসহায়, দুস্থ ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন তিনি।
এদিকে মো: হাফিজুর রহমান সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের এক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, মো: হাফিজুর রহমানকে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হলে পূর্বের থেকে শতগুন শক্তিশালী হবে বলে তিনি জানান। এদিকে গাজীপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো: হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার পরিবারের সকল সদস্যই আওয়ামী পরিবারের রাজনীতির সাথে জড়িত আমিও ছোটকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুঁকে ধারণ করে আওয়ামী রাজনীতিকে ধারন করে আসছি আমি একজন গাজীপুর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছি। সিনিয়র নেতারা আমাকে যোগ্য মনে করে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করলে অবশ্যই অন্যান্য জেলা থেকে গাজীপুর জেলা যুবলীগ একটি শক্তিশালী ইউনিট হবে বলে মনে করি।